বগুড়ার গাবতলী উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায় নিজেদের উদ্যোগে রাত জেগে পালাক্রমে গ্রাম ও মন্দির পাহারা দিচ্ছে।
Published : 28 Mar 2013, 04:24 PM
গত ১৯ মার্চ জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবে গাবতলীর রামেশ্বরপুর ও সোনারায় ইউনিয়নে হিন্দুদের কয়েকটি মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের পর গাবতলী পূজা উদযাপন কমিটি এ পদক্ষেপ নিল।
গাবতলী মহিষাবান, পালপাড়া, মারিয়া, নিশিন্দারা, দাড়িয়াল, আকন্দপাড়াসহ হিন্দু সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকায় ১০-১২ জনের গ্রুপ করে প্রতি রাতেই প্রহরা চলছে।
গাবতলী পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক রনজিত চৌধুরী বলেন, “মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুরের পর আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে সভা করেছি। তারপরই নিজেদের উদ্যোগে এ ধরণের রাত্রিকালীন প্রহরা দিয়ে নিজেদের জানমাল ও মন্দির রক্ষার কাজ করছি।”
গাবতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরা সুলতানা জানান, হিন্দু সম্প্রদায়কে মনোবল দৃঢ় রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সন্ত্রাস ও নাশকতা বিরোধী একটি কমিটিও করা হয়েছে।
তিনি অেঅরো বলেন, “তারা [হিন্দু সম্প্রদায়] নিজ উদ্যোগে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসলেও প্রশাসন তাদের সঙ্গে আছে।
গাবতলী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এএইচএম আজম খান বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য আমরা প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেছি। এরপর আর কোনা মন্দির ভাঙা এবং সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ হলে আমরা মেনে নেবো না।