হোম
+
ভুয়া এলসির বিপরীতে জনতা ব্যাংকের প্রায় ৮৬ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় হলমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামের জামিন হবে কি না তা জানা যাবে ৩০ জুন।
Published : 23 Jun 2022, 12:15 AM
বুধবার তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য এ দিন রেখেছে।
বর্তমানে হল-মার্কের চেয়ারম্যান কারাগারে আছেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান জানান, অর্থ আত্মসাতের ওই মামলায় হাই কোর্ট ২০১৯ সালের ১০ মার্চ জেসমিনের এক আবেদন মঞ্জুর করে রুলসহ জামিন দেয়। ওই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করেন। পরে একই বছরের ১৬ জুন আপিল বিভাগ তার জামিন বাতিল করে চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিল।
“এরপর হলমার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে জামিন প্রশ্নে রুলের ওপর আজ শুনানি শেষে রায়ের জন্য ৩০ জুন দিন রেখেছে আদালত।”
আদালতে জেসমিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এ মামলা করেন দুদকের তৎকালীন উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। ওই দিন বিকালেই দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন এবং তার স্বামী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ তাদের কোম্পানির বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন।
প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা তুলে আত্মসাত করেন বলে অভিযোগ করা হয় মামলায়।
মামলায় বিচারিক আদালতে জেসমিনের জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন।
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের করা আরেক মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ২০১৮ সালের ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে।
আরও পড়ুন-
