সেই সঙ্গে তাকে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
দুদকের এক আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেয়।
আদালতে জেসমিন ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও আবদুল মতিন খসরু। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
“এর বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করেছিল। আপিল বিভাগ আজ তার জামিন বাতিল করে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে।’
২০১৬ সালের ১ নভেম্বর জেসমিনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল থানায় এই মামলা করেন দুদকের উপসহকারী পরিচালক জয়নাল আবেদিন। ওই দিন বিকালেই তাকে দুদকের একটি দল রাজধানীর বংশাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, হল-মার্কের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলাম এবং তার স্বামী কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠানের বেতনভুক্ত কর্মচারী মো. জাহাঙ্গীর আলমকে আনোয়ারা স্পিনিং মিলসের মালিক এবং মীর জাকারিয়াকে ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক সাজিয়ে জনতা ব্যাংকের জনতা ভবন করপোরেট শাখায় একটি হিসাব খোলেন।
প্রতিষ্ঠান দুটির মাধ্যমে ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির মাধ্যমে কোনো মালামাল আমদানি-রপ্তানি না হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সোনালী ব্যাংক থেকে ৮৫ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার ৬১৬ টাকা তুলে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় মামলায়।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে জেসমিনের জামিন নামঞ্জুর হলে তিনি হাই কোর্টে আবেদন করেন। হাই কোর্ট গত ১০ মার্চ তাকে জামিন দেন। জেসমিনের স্বামী তানভীর মাহমুদ কারাগারে রয়েছেন।
সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় দুদকের করা মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত গতবছর ১১ জুলাই জেসমিন ইসলামকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে।