ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভাকেন্দ্রিক নির্বাচনী সহিংসতায় এক মাসে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থা মানবাধিকার সংস্কৃতি ফোরাম (এমএসএফ)।
Published : 30 Nov 2021, 05:38 PM
নভেম্বর মাসের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মঙ্গলবার সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতানা কামাল স্বাক্ষরিত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
১১টি জাতীয় গণমাধ্যম ও নিজস্ব তথ্যানুসন্ধান করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে জানায় এমএসএফ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর মাসে ৯৮টি নির্বাচনী সহিংসতায় কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ৭৮ জন। এসব সহিংসতায় আহত হয়েছেন ৫০০ এর বেশি মানুষ।
নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১৬ জন প্রতিপক্ষের গুলিতে এবং চারজন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। এদের প্রায় সবাই ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের সমর্থক বা কর্মী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনী সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি নরসিংদী জেলায় ১১ জন নিহত হয়েছেন।
নীলফামারীতে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ছয়টি বাড়িতে হামলা ও লুটপাট হয়েছে। এই সময়ে ১৩৯ জন নারী ও ১৩৮ জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনের প্রথম তিনটি ধাপে ভোটের আগে-পরে ও ভোটের দিন গোলযোগ ও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। বেশ কিছু নির্বাচনী এলাকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে এবার।
তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণের দিন আগের ধাপের চেয়ে গোলযোগ-সহিংসতা ও প্রাণহানি তুলনামূলক কম হলেও লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, নেত্রকোণা, সাতক্ষীরা, ফেনীসহ অনেক এলাকায় অনিয়ম, দখলসহ নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নভেম্বর মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ‘কথিত ক্রসফায়ার’ বা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয় জন নিহত হয়েছেন বলেও এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়।