বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এই প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “খোঁজ নিয়েছি, প্রার্থীরাও অনেকে অভিমত জানিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, ভোটটি খুবই সুষ্ঠুভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে হয়েছে। ইসি মনে করে, সুষ্ঠুভাবে হয়েছে “
এ ধাপে ৬০-৭০ শতাংশ ভোট পড়বে বলে ধারণা দেন ইসি সচিব।
বৃহস্পতিবার ৮৩৫ ইউপির ভোটে কেন্দ্রদখল ও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে অনেক কেন্দ্রে। নরসিংদীর রায়পুরায়, কক্সবাজার সদর, কুমিল্লার মেঘনা ও চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রার্থীদের সমর্থক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত সাতজনের মৃত্যুর খবর এসেছে।
হুমায়ুন কবীর বলেন, “যারা মারা গিয়েছে তারা ভোটকেন্দ্রে মারা যায়নি। অর্থাৎ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষে সহিংসতা হয়েছে। তারা মারা গেছে।
“অন্তত ছয় জন মারা গিয়েছে, আমরা ব্যথিত। আমরা কখনোই চাইব না রাষ্ট্রের একজন নাগরিকও যে কোনো কারণেই নিহত হোক- এটাও কমিশনের জন্য দুঃখজনক ব্যাপার।”
নির্বাচনী সহিংসতার কারণ ব্যাখ্যা করে ইসি সচিব বলেন, “ইউপিতে ঘরে ঘরে, পাড়ায় পাড়ায় প্রতিযোগিতা হয়; একটি পাড়া আরেকটি পাড়ার উপর প্রভাব বিস্তার করতে চায়।
“এ নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকে, প্রার্থীরা অতি আবেগী হয়ে যায় বিজয়ের জন্য।”
তবে ‘ভোটটি সুষ্ঠু’ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ইসি মনে করে, যেসব ঘটনা ঘটেছে তা না হলে আরও ভালো হতো।”