অধস্তন সহকর্মীকে ‘দুর্নীতির’ কারণে বদলি করতে আইজিপিকে লেখা চিঠি কী করে ফাঁস হল, তার তদন্তও হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
Published : 06 Jun 2020, 01:29 PM
আর সহকর্মী মো. ইমাম হোসেনের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ তদন্ত করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ৩০ মে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে একটি চিঠি পাঠান শফিকুল, যাতে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার (লজিস্টিকস) মো. ইমাম হোসেনকে ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ আখ্যায়িত করে তাকে জরুরি ভিত্তিতে বদলির সুপারিশ করা হয়।
২০১২ সালে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হিসেবে যোগ দেন ইমাম হোসেন। পরবর্তী সময়ে ডিএমপির উপ-কমিশনার (অর্থ) ও উপ-কমিশনার (লজিস্টিকস) পদে দায়িত্ব পালন করেন। পদোন্নতি পেয়ে এখন যুগ্ম কমিশনার হিসেবে লজিস্টিকস বিভাগে কর্মরত তিনি।
চিঠিতে বলা হয়, “ডিএমপির বিভিন্ন কেনাকাটায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তদুপরি তিনি ডিএমপির কেনাকাটায় স্বয়ং পুলিশ কমিশনারের নিকট ‘পার্সেন্টেজ’ গ্রহণের প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। ফলে উক্ত কর্মকর্তাকে ডিএমপিতে রাখা সমীচীন নয় মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে।”
তার ওই চিঠি নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে।
চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করে শফিকুল শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি একবারে অভ্যন্তরীণ বিষয়।
“তবে অফিসিয়াল গোপনীয় এই প্রতিবেদন কীভাবে মিডিয়ার কাছে গেছে, সে ব্যাপারে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কমিটি দেখবে কীভাবে এই অফিসিয়াল সিক্রেট আউট হয়েছে।”
তার এই পদক্ষেপের বিষয়ে পুলিশের সাবেক এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এভাবে চিঠি দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না।
“আমি হলে তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতাম। এভাবে কেন চিঠি দেওয়া হল?”
তদন্তের বিষয়ে শফিকুল বলেন, “আইজি মহোদয় হয়ত অতিরিক্ত আইজি বা ডিআইজির নেতৃত্ব একটি কমিটি করে দেবেন। তারা তদন্ত করে দেখবেন।”
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তিনি (ইমাম) একজন অ্যাডিশনাল ডিআইজি। সবারই কিছু কিছু ধারণা আছে। আমি বললেই যে সাসপেন্ড হয়ে যাবে তা নয়। আগে তদন্ত রিপোর্ট দিক।”
অভিযোগের বিষয়ে ইমাম হোসেনকে একাধিকবার ফোন করলেও তা ধরেননি তিনি। মেসেজ দিয়েও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
এদিকে ডিএমপি কমিশনারের চিঠিটি শুক্রবার রাত নাগাদ না পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পুলিশ সদর দপ্তরে কর্মরত সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চিঠি যদি আসে, তবে প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।