করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার ও নার্সদের আলাদা আবাসনের জন্য জেলা প্রশাসকদেরকে হোটেল বা ভবন অধিগ্রহণ করতে বলেছে সরকার।
Published : 20 Apr 2020, 05:14 PM
এবিষয়ে একটি জরুরি নির্দেশনা স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে রোববার ডিসিদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়েছে, “…করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য পৃথক হাসপাতাল বা কেন্দ্র; চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পরিবহনের জন্য যানবাহন; রোগীদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স; চিকিৎসক, নার্স ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক পিপিই, ওষুধ ও ভেন্টিলেটর এবং লাশ পরিবহনের জন্য ব্যাগ প্রভৃতি প্রস্তুত রাখা জরুরি।”
এ বিষয়ে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিভিল সার্জনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
ডিসিদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, “বিশেষভাবে উল্লেখ্য, স্বাস্থ্য সুরক্ষা তথা সঙ্গনিরোধ নিশ্চিতকরণের অনিবার্য প্রয়োজনে পারিবারিক সদস্যদের সাথে নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত থাকা সমীচীন হবে না বিধায় তাদের জন্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ভিন্ন কোনো স্থানে অবস্থানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে তাদের আবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক উপযোগী ভবন, আবাসিক কেন্দ্র বা হোটেল রিকুইজিশন করা আবশ্যক হতে পারে। এসব রিকুইজিশনের জন্য অনুরোধ করা হল।”
এসব অধিগ্রহষের ক্ষেত্রে কি করতে হবে সে বিষয়েও নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে আলাচনা করে প্রয়োজন ও উপযোগিতা বিচেনায় হোটেল বা ভবনের সংখ্যা নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।
অধিগ্রহণ করা হোটেল বা ভবনের ইউটিলিটি বিল এবং সেখানে অবস্থানরতদের নির্ধারিত হারে খাওয়া খরচও সরকার বহন করবে। হোটেল বা ভবন কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়ক জনবল ও অন্যান্য সার্বিক সহযোগিতা দিতে হবে।
অধিগ্রহণ সংক্রান্ত তথ্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম-সচিব তপন কুমার বিশ্বাসকে মোবাইলে ০১৭১১১৯৬৭৪১ নম্বরে এবং [email protected] তে ইমেইল করে জানাতে বলা হয়েছে।