জালিয়াতির মাধ্যমে এলসি (ঋণপত্র) খুলে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১২০ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরী ও ব্যাংকটির আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 19 Mar 2019, 08:28 PM
জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ও মেসার্স যমুনা এগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেডের মালিক শওকত চৌধুরী ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- কমার্স ব্যাংকের বংশাল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও ফার্স্ট অ্যাসিটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হাবিবুল গনি (চাকুরিচ্যুত), একই শাখার সাবেক এক্সিকিউভ অফিসার ও বৈদেশিক বাণিজ্য কর্মকর্তা শিরিন নিজামী (চাকুরিচ্যুত), সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার দেবাশীষ কুমার বাউল।
এছাড়া ব্যাংকটির সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান (চাকুরিচ্যুত), সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পানু রঞ্জন দাস (চুক্তি শেষ), সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শফিকুল ইসলাম (চাকুরিচ্যুত), সাবেক ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ইফতেখার হোসেন (চাকুরিচ্যুত) এবং সাবেক এক্সিকিউটিভ অফিসার আসজাদুর রহমানকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যাংকিং আইন-কানুন ভঙ্গ করে অবৈধভাবে তিনটি পিএডি (পেমেন্ট অ্যাগেনসট ডকুমেন্ট) তৈরি করে ব্যাংকের ৫৫ কোটি ৪৩ লাখ ১২ হাজার ৮৮০ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়া ২৬টি এলসির বিপরীতে অন্যায়ভাবে ৩৫টি এলটিআর (লোন ট্রাস্ট রিসিট) তৈরি করে ব্যাংকের ৩৪ কোটি ৯৩ লাখ সাত হাজার ৩৫১ টাকা আসামিরা আত্মসাৎ করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
এসব অভিযোগে আসামির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১০ মে রাজধানীর বংশাল থানায় এ মামলা দায়ের হয়।
পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক মামলার তদন্তের দায়িত্ব পান। প্রায় তিন বছর মামলাটির তদন্ত শেষে কমিশনে তিনি প্রতিবেদন জমা দিলে দুদক অভিযোগপত্র অনুমোদন করে বলে প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানান।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নীলফামারীর সাবেক সংসদ সদস্য মো. শওকত চৌধুরী সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে জমি ও সম্পত্তির জাল দলিল তৈরি করে ব্যাংকে বন্ধক দিয়ে এলসির সুবিধা নেন। এলসিগুলোর মাধ্যমে ব্যাংকের ৯৩ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার ২৩১ টাকা ঋণ নিলেও তা সুদসহ ১২০ কোটি নয় লাখ ৮০ হাজার ৯৮৯ টাকা হয়, যা আসামিরা আত্মসাৎ করেছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়।
২০১২ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময়ে এই অর্থ আত্মসাতের এ ঘটনা ঘটে।