নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে গিয়ে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
Published : 09 Dec 2018, 04:48 PM
এর ফলে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইমরানের বাধা থাকলো না বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপত্র বাতিলের যে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, নির্বাচন কমিশন তা বহাল রাখায় হাই কোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন ইমরান।
সেই আবেদনের ওপর শুনানি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ রোববার নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে দেয়।
ইমরানের পক্ষে হাই কোর্টে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আদেশের পর তানিয়া আমির সাংবাদিকদের বলেন, “ইমরান এইচ সরকার নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আজকের আদেশের সত্যায়িত কপি পাঠাতে দেরি হতে পারে বলে আদালত অ্যাটর্নি জেনারেলকে বলেছেন, তিনি যেন বিষয়টি মৌখিকভাবে ইসিকে জানিয়ে দেন, বৈধ প্রার্থী হিসেবে ইমরানের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন যেন তাকে নির্বাচনে অংশগ্রহেণর সুযোগ করে দেয়।”
এক প্রশ্নের জবাবে ইমরানের আইনজীবী বলেন, “অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে, তিনি নির্বাচন কমিশনে আদেশটি মৌখিকভাবে জানিয়ে দেবেন।”
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ইমরান। কিন্তু ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের তালিকায় ত্রুটি থাকার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ইমরান ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলেও শুক্রবার শুনানি করে নির্বাচন কমিশন তা বাতিল করে দেয়।
তানিয়া আমির সেদিন সাংবাদিকদের বলেন, ইমরানের জমা দেওয়া ভোটারের স্বাক্ষরের ক্রমিকে ভুল ছিল। ২৭০ এর পরে ২৯০ চলে এসেছিল। কিন্তু ইমরান ৫০০ ভোটারের স্বাক্ষর বেশি দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন এ ভুলকে ‘গ্রস মিসটেক’ হিসেবে বর্ণনা করে আপিল খারিজ করে দেয়।
এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ইমরান সেদিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, “আমার কাছে মনে হল, পুরোটাই মাইন্ড সেট। আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছে কার জন্য কী রায় দেওয়া হবে। প্রমাণের ওপরও নির্ভর করছেন না উনারা।”