নির্বাচন কমিশনে আপিল শুনানির দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ইমরানের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তার ভোটের পথ আর খুললো না।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, “আমার কাছে মনে হল, পুরোটাই মাইন্ড সেট। আগে থেকেই ঠিক করে রাখা হয়েছে কার জন্য কী রায় দেওয়া হবে। প্রমাণের ওপরও নির্ভর করছেন না উনারা।”
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন ইমরান।
কিন্তু ২ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে এক শতাংশ ভোটারের সমর্থনের তালিকায় ত্রুটি থাকার কারণ দেখিয়ে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
ইমরান ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করলেও শুক্রবার শুনানি করে নির্বাচন কমিশন তা বাতিল করে দেয়।
নির্বাচন কমিশনে ইমরানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমির। তিনি বলেন, ভোটারের স্বাক্ষরের ক্রমিকে ভুল ছিল। ২৭০ এর পরে ২৯০ চলে এসেছিল। কিন্তু ইমরান ৫০০ ভোটারের স্বাক্ষর বেশি দিয়েছিলেন।
নির্বাচন কমিশন এ ভুলকে ‘গ্রস মিসটেক’ হিসেবে বর্ণনা করলে তানিয়া আমির বলেন, “আপনারা যদি মাইন্ড সেট করে রাখেন যে আপিল আবেদন নামঞ্জুর করবেন, তাহলে তো কিছু বলার নাই।”
শুনানির পর ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, “যা সাবমিট করেছিলাম, তাতে ৫০০ বেশি ছিল। কোনো ভোটারের স্বাক্ষর পাওয়া যায়নি এমনও নয়। শুধু সিরিয়ালে একটা ভুল ছিল। আমরা বলেছি, এটা একটা ‘ক্লারিক্যাল’ মিসটেক, এটা তো তখনই ঠিক করা সম্ভব ছিল।
“কিন্তু উনারা বলল, এটা ‘গ্রস মিসটেক’। এটা তো হলফনামায়ও ভুল না, হলফনামার ভুল তো সংশোধনযোগ্য না। কিন্তু সেটাও তো সংশোধন হচ্ছে। অথচ আমার এই ছোট ভুলটার কারণে বাতিল করে দেওয়া হল।”
নির্বাচন কমিশনে আপিল করে ‘সুবিচার পাননি’ মন্তব্য করে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথা বলেছেন এক সময় ছাত্রলীগের রাজনীতি করা ইমরান।
ইসি কোনো যুক্তিই শোনেনি অভিযোগ করে তিনি বলেন, “তারা ঠিক করে রেখেছেন, যার জন্য যেটা-সেটাই দিচ্ছেন। বড় বড় ঘটনা হলফনামায় ভুল, ঋণখেলাপির হলেও তাদের মনোনয়ন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন কমন সেন্স অ্যাপ্লাই করছে কিনা সন্দেহ।”