ভোটের আগে বিএনপিতে আসা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ গোলাম মাওলা রনির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।
Published : 02 Dec 2018, 03:43 PM
‘হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকায়’ রোববার পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) আসনে রনির মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিউল ইসলাম চৌধুরী।
রোববার দুপুর ১২টায় বাছাইয়ের পর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বৈধ-অবৈধ প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন তিনি।
ঋণ খেলাপের দায়ে একই আসনে বিএনপি মনোনীত আরেক প্রার্থী শাহজাহান খানের মনোনয়নপত্রও বাতিলা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
দুইজনের মনোনয়ন বাতিলের পর পটুয়াখালী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে টিকে রইলেন দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন।
যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা আগামী তিন দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মতিউল।
পটুয়াখালী-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দেওয়া মোট ছয় প্রার্থীর মধ্যে বিএনপির হাসান মামুনের সঙ্গে বাকী তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের এসএম শাহাজাদা, জাতীয় পার্টির মাওলানা মো. সাইফুল ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মোহাম্মদ কামাল খান।
ছাত্রলীগের সাবেক স্থানীয় নেতা এসএম শাহাজাদা বর্তমান সিইসি কে এম নূরুল হুদার ভাগ্নে।
১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে পটুয়াখালী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন।
জরুরি অবস্থার পর তিনি সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার পর ২০০৮ সালে তাকে বাদ দেওয়া হয়। রাজনীতিতে অচেনা রনি সেবার আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তবে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাহাঙ্গীরকে ফিরিয়ে আনে দলে। সেবার নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়াইয়ে নেমে হেরে যান রনি।
এরপর আওয়ামী লীগে রনিকে সক্রিয় দেখা না গেলেও টিভি আলোচনা অনুষ্ঠানে নিয়মিত মুখ তিনি।