‘শোডাউন’ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ ইসির

দলীয় কার্যালয় বা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা নিয়ে যে কোনো মিছিল-শোডাউন বন্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2018, 03:48 PM
Updated : 13 Nov 2018, 03:49 PM

মঙ্গলবার ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত  চিঠি পুলিশের মহাপরিদর্শককে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়নপত্র গ্রহণ বা জমা দেওয়ার সময় মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহন সহকারে মিছিল ও শোডাউন করা হচ্ছে।

“যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৮ বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।”

আরচণ বিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে কোনো ব্যক্তি মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করতে পারবে না।

এ বিধি অনুসারে পরবর্তীতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন নির্দেশনা দিয়েছে।

ইসির উপ-সচিব আতিয়ার রহমান জানান, আচরণবিধি যথাযথ প্রতিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী একজন গত শনিবার সড়কজুড়ে এমন মোটর শোভযাত্রা নিয়ে যান মনোনয়ন ফরম তুলতে

৩০ ডিসেম্বরের ভোট সামনে রেখে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ-জমা চলছে। তবে দলীয় বা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে হবে।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই  ২ ডিসেম্বর ও প্রার্থিতা  প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ ডিসেম্বর।  ভোট হবে ৩০ ডিসেম্বর।

বিএনপি কার্যালয়ে লোক সমাগম

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ শেষ হওয়ার পরই পুলিশের কাছে মিছিল-শোডাউন বন্ধে নির্দেশনা দিল ইসি।

তবে এখনও চলছে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের ফরম বিক্রি, বিতরণ-জমার কাজ।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম নিতে যে লোক আসছে এটা আচরণবিধি  লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না। আর এটাকে যদি আপনারা (গণমাধ্যম) লেখেন আচরণ বিধি লংঘন হচ্ছে, এটা লেখেন তাতে নিজের প্রতি অন্যায় করবেন, নিজের বাস্তবতার প্রতি অন্যায় করবেন, মানুষের প্রতি অন্যায় করবেন, দলের প্রতি অন্যায় করবেন। ”

এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, “কারণ সারা বাংলাদেশে প্রতি আসনে তিনজন করে যদি নমিনেশন নিতে আসে তাহলে ৯০০ জন হয়। আর তাদের সঙ্গে যদি দুইজন করে আসে তাহেল ১৮০০ জন হয়। তাহলে ৯০০ ও ১৮০০ মিলে হয় ২৭০০ জন। ধরি, এই তিন হাজার লোক এই কর্যালয়ের সামনে থাকবে। এটাতো আচরণবিধি লংঘন নয়।”