মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের তিনবছর পূর্তির আগে দিয়ে জরুরি অবস্থার মেয়াদ নতুন করে বাড়ানো হল।
Published : 31 Jan 2024, 09:11 PM
মিয়ানমারে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জারি থাকা জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়িয়েছে সামরিক শাসকরা। সামরিক অভ্যুত্থানের তিনবছর পূর্তির আগে দিয়ে জরুরি অবস্থার মেয়াদ নতুন করে বাড়ানো হল।
দেশের অভ্যন্তরে রক্তক্ষয়ী, গণতন্ত্রপন্থি বিদ্রোহী তৎপরতা মোকাবেলার কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে থাকা জান্তা সরকারের শাসনক্ষমতা পরীক্ষার মুখে পড়ার এই সময়ে এমন পদক্ষেপ এল।
সামরিক বাহিনী পরিচালতি সংবাদমাধ্যম মায়াবতীর টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলা হয়েছে, “জান্তা প্রধান মিন অং হ্লায়িং জরুরি অবস্থা আরও ৬ মাসের জন্য বাড়ানো জরুরি মনে করছেন; যাতে দেশে স্থিতিশীলতা এবং শান্তির স্বাভাবিক বাতাবরণ ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি হাতে নেওয়া যায়।”
গতবছর সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তির সময়ও জান্তা সরকার জরুরি অবস্থার মেয়াদ ছয়মাস বাড়িয়েছিল। তারপর থেকে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে সংঘাত সাম্প্রতিক সময়ে অনেক বেড়ে গেছে। জাতিসংঘের হিসাবমতে, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে লড়াই-সংঘাতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সম্প্রতি সেখানে জাতিগত বিদ্রোহীরা গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহর দখল করছে।
অভ্যুত্থানের ৩ বছরের মাথায় প্রথম বেকায়দায় পড়েছেন মিয়ানমারের জান্তা প্রধান।জোট গঠন করে বিদ্রোহীদের সমন্বিত আক্রমণ কিছুতেই প্রতিহত করতে পারছে না মিয়ামনারের সামরিক বাহিনী। বরং একটু একটু করে এলাকা বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। গত বছর অক্টোবর থেকে বিদ্রোহী জোট এই আক্রমণ শুরু করেছে। তারা এর নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ১০২৭’।
এ পরিস্থিতিতে জান্তা শাসনপন্থিরাই হ্লাইংয়ের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।অনলাইনে, জান্তাপন্থি সাংবাদিক এবং ব্লগাররা বলছেন,, “তার (জান্তা প্রধান হ্লায়িং) সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করা উচিত।”
মিয়ানমারে ৫ দশকের শাসনকালে সেনাবাহিনী এখনই সবচেয়ে বড় পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মিয়ানমারের জান্তা-বিরোধী ছায়া সরকার বলছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তারা আলোচনা করতে প্রস্তুত।