Published : 19 Jan 2024, 03:29 PM
ভারতের আইনসভাগুলোর তেত্রিশ শতাংশ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষণ করতে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার পর উচচকক্ষ রাজ্যসভাতেও পাস হয়ে গেল নারী আসন সংরক্ষণ বিল৷
বৃহস্পতিবার রাজ্যসভার ভোটাভুটিতে সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে এ বিল। বিপক্ষে কোনো ভোট পড়েনি। এবার বাকি শুধু রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর। তিনি বিল সই করলেই আইনে পরিণত হবে ‘নারী শক্তি বন্ধন অধিনিয়ম’ বা নারী আসন সংরক্ষণ বিল।
ঐতিহাসিক এই আইন নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ানোসহ নারীদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে একাধিকবার পার্লামেন্টের দুই কক্ষে বিলটি পাস করানোর চেষ্টা হলেও কোনোবারই সাফল্য আসেনি। ১৯৯৬ সালে লোকসভায় প্রথম নারী আসন সংরক্ষণ বিল পেশের পরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের বিরোধিতার কারণে প্রায় ২৭ বছর ধরে বিলটি ঝুলে ছিল।
২০১০ সালে রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়েছিল। কিন্তু লোকসভায় বিলের পক্ষে দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন জোগাড় হয়নি। যা সম্ভব হয়েছে এবার। দুই কক্ষে বিলটি পাস হয়ে গেলেও এটি কবে থেকে কার্যকর হবে তার কোনো ঠিক না থাকায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একে সরকারের লোক ঠকানো বিল বলে সমালোচনা করছে।
এ আইন কার্যকর করার আগে জনগণনা করবে ভারত সরকার। তারপর এর ভিত্তিতে লোকসভার আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। কবে তা হবে সেটি অনিশ্চিত। এইসব প্রক্রিয়ার পরই চালু হবে নারী আসন সংরক্ষণ ব্যবস্থা।
দ্রুত এই বিল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে ভারতীয় কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, “তাদেরকে কত বছর অপেক্ষা করতে হবে? দুই, চার না আট?”সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)