যে দুটি ভূমিকম্প হয়েছে তার মধ্যে বড়টির উৎসস্থল জাজারকোটের রামিদান্দা গ্রামে, তিন দিন আগের প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের উৎসস্থলও ছিল এখানে।
Published : 07 Nov 2023, 02:12 PM
নেপালে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পে ১৫৩ জন নিহত হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যে ফের ভূমিকম্প হয়েছে, এতে নতুন করে আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
ইউরোপিয়ান-মেডাটেরেইনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, সোমবার দেশটিতে ৫ দশমিক ২ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে, পরে কিছুটা কম মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়।
দেশটির জাজারকোট জেলার পুলিশ কর্মকর্তা সাতোশ রক্ষা জানিয়েছেন, এদিন তিনজন সামান্য আহত হয়েছেন।
“কিছু ভূমিধসের ঘটনায় কযেকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো মৃত্যুর খবর হয়নি,” বলেছেন তিনি।
নেপালের জাতীয় ভূম্পিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার যে দুটি ভূমিকম্প হয়েছে তার মধ্যে বড়টির উৎসস্থল ছিল জাজারকোটের রামিদান্দা গ্রামে, শুক্রবারের প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের উৎসস্থলও এখানে ছিল।
নেপালে ভূমিকম্পর পর পোড়ানো হচ্ছে লাশ, থালা-বাটি দিয়ে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি
এর নয় মিনিট পর ৪ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়। দ্বিতীয় এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল রামিদান্দার কাছে পিঙ্ক গ্রামে।
জাজারকোটের জেলা কর্মকর্তা ইকে রাজ উপাধ্যায় জানান, শুক্রবারের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো এই ভূমিকম্পে আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার জাজারকোট অঞ্চলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে অন্তত ১৫৩ জন নিহত ও ৩৩৯ জন আহত হয় বলে নেপালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
দেশটির পশ্চিমাঞ্চলে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে গেছে বাড়িঘর। গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। বাইরে ঠান্ডার মধ্যে তারা রাত কাটাচ্ছে। ভূমিকম্পে নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে মৃতদেহ। ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে থাকা মানুষজনকে উদ্ধারের চেষ্টায় খোঁড়ার কাজে থালা, বাটি ও গৃহস্থালি জিনিসপত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে নেপালে আরেকটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। তারপর থেকে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পটি হয় শুক্রবার।