তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রলারটি দুর্ঘটনায় পড়ার পর উভয় দেশের কর্তৃপক্ষই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠায়।
Published : 14 Mar 2024, 01:31 PM
তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিনমেন দ্বীপের কাছে একটি মাছ ধরা ট্রলার উল্টে যাওয়ার পর চীনের অনুরোধে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড।
স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রাণলীতে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার ভোররাতে চীনের মাছ ধরার ট্রলারটি উল্টে যায়।
তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ট্রলারটি দুর্ঘটনায় পড়ার পর উভয় দেশের কর্তৃপক্ষই ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠায়।
উভয়পক্ষের উদ্ধারকারী দলগুলো দুইজনকে জীবিত ও দু’টি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে, আরও দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।
তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড প্রধান চৌ মেই-উ দেশটির এক পার্লামেন্টারি কমিটিকে জানিয়েছেন, চীনের কর্তৃপক্ষ সহায়তা চাওয়ার পর ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী জাহাজ পাঠিয়েছে তারা। এ ধরনের সাহায্যের অনুরোধ একটি সাধারণ ঘটনা। গত তিন বছরে এ ধরনের প্রচেষ্টায় ১১৯ জন মানুষ প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।
“কিনমেন-শিয়ামেন (এলাকার) আশপাশের জলপথ খুব সংকীর্ণ। সেখানে তাইওয়ান ও চীনের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ,” বলেছেন তিনি।
তাইওয়ানের কিনমেন দ্বীপের পশ্চিম পাশেই চীনের শিয়ামেন দ্বীপের অবস্থান। দুই দ্বীপের মধ্যবর্তী দূরত্ব পাঁচ কিলোমিটারের মতো।
কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, চীনের মাছ ধরা ট্রলারটি তাইওয়ানের ডংডিং দ্বীপ থেকে প্রায় ১ দশমিক শূন্য সাত নটিক্যাল মাইল পশ্চিমে উল্টে যায়। উদ্ধার অভিযানে চীনের ছয়টি জাহাজ ও তাইওয়ানের চারটি জাহাজ অংশ নিয়েছে। সেখানে মোতায়েন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের কিনমেনের প্রতিরক্ষা কমান্ড জানিয়েছে, তাদের দ্বীপে জীবিত কোনো চীনা নাগরিককে পাওয়া গেলে তাকে তারা কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করবে, তবে চীনের কর্তৃপক্ষ নিখোঁজ জেলেদের খোঁজে দ্বীপে কোনো তল্লাশি অভিযান চালানোর অনুরোধ করেনি।
গত মাসে চীনের একটি মাছ ধরা ট্রলার তাইওয়ানের জলসীমায় প্রবেশ করার পর তাইওয়ানের কোস্ট গার্ড তাদের তাড়া করেছিল। এ সময় দুই চীনা নাগরিকের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে চীনের কোস্ট গার্ড কিনমেন দ্বীপের চারপাশে নিয়মিত টহল দেওয়া শুরু করে।
গত সপ্তাহে তাইওয়ানের চীন-নীতি সংক্রান্ত সর্বোচ্চ পরিষদ তাদের জলসীমায় কোস্ট গার্ডের জাহাজ পাঠিয়ে ‘স্থিতাবস্থা’ পরিবর্তন না করতে বৃহৎ প্রতিবেশী চীনকে অনুরোধ জানায়।
গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। দ্বীপটির কঠোর প্রতিবাদ সত্ত্বেও তাদের জলসীমার কাছাকাছি নিজেদের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে বেইজিং। আর তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ জোনও নিয়মিত লঙ্ঘন করে চলছে চীনা বিমান বাহিনী।