ময়মনসিংহে শুরু হওয়া এই বুটক্যাম্পে প্রায় ৩০০ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন।
Published : 28 Apr 2024, 11:49 PM
তরুণ উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনা বিকাশের লক্ষ্যে শুরু হয়েছে গ্রামীণফোনের স্টার্টআপ ইনোভেশন প্ল্যাটফর্ম জিপি এক্সিলারেটর ‘জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা’ বুটক্যাম্প।
শনিবার ময়মনসিংহ থেকে এই ক্যাম্প শুরু হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ গ্রহণে আগ্রহী তরুণদের দক্ষতা অর্জন, নেটওয়ার্কিং এবং ফান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনা দিতে এই বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
বুটক্যাম্পে প্রায় ৩০০ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন। দেশব্যাপী ২০টি অঞ্চলে ধাপে ধাপে এই রিজিওনাল বুটক্যাম্পের আয়োজন করা হবে।
ময়মনসিংহ শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহফুজুল আলম মাসুম।
এছাড়া ময়মনসিংহের যুব উন্নয়নের ডিডি হারুন অর রশিদ, ময়মনসিংহ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি লুসী আক্তারী মহল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার এবং প্রতিষ্ঠাতা আমরা পারি ও কমিউনিটি বিল্ডার- জেলায় জেলায় স্মার্ট উদ্যোক্তা হাফিজা আক্তার রানী উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন গ্রামীণফোনের জিপি এক্সিলারেটর প্রোগ্রাম লিড মুহাম্মদ সোহেল রানা।
অনুষ্ঠানটি দুটি ভাগে বিভক্ত ছিল। দিনের প্রথম ভাগে ডিজাইন থিংকিং এর কলাকৌশল অর্থাৎ ডিজাইন থিংকিং কী, এর ধাপগুলো কী কী, প্রোডাক্ট টেস্টিং, মার্কেট রিসার্চ কিভাবে করতে হয়, ফিন্যানশিয়াল মডেলিং কীভাবে করতে হয়, ইনভেস্টমেন্টের জন্য পিচ ডেক কীভাবে বানাতে হয় এই বিষয়গুলোর উপরে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় ভাগে আইডিয়া পিচিং প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে স্থানীয় উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন আইডিয়া উপস্থাপন করা হয়। যার মধ্যে স্থানীয় সমস্যা সমাধানকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের এনভায়রনমেন্ট, সোশ্যাল এবং গভার্নেন্স হেড ফারহানা ইসলাম বলেন, “সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক, স্মার্ট ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি গড়ে তুলতে গ্রামীণফোন সংকল্পবদ্ধ। এই ধারাবাহিকতায় দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে জিপি এক্সেলারেটরের রিজিওনাল বুটক্যাম্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।”
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৫ সালে কার্যক্রম চালুর পর থেকে জিপি এক্সিলারেটর ৫০টি স্টার্টআপের মাধ্যমে ৫ লক্ষ মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড জিপি এক্সিলারেটরের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করছে।