রাশিয়া গত বছর ইউক্রেইনের বিশাল অংশ দখল করে নেওয়ার পর তাদের উৎপাদন ও রপ্তানি অনেকখানি কমে যায়।
Published : 21 Mar 2023, 04:08 PM
রাশিয়ার অভিযানের কারণে তুলনামূলকভাবে কম জমিতে শস্য বোনায় গত বছরের ৫ কোটি ৩১ লাখ টন থেকে কমে এবার প্রাপ্ত ফসলের পরিমাণ ৪ কোটি ৪৩ লাখ টন হতে পারে বলে ধারণা দিয়েছে ইউক্রেইনের কৃষি মন্ত্রণালয়।
সোমবার চলতি বছরের ফসলের উৎপাদন নিয়ে তাদের এই অনুমানিক হিসাব প্রকাশিত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এবার এক কোটি ৬৬ লাখ টন গম, দুই কোটি ১৭ লাখ টন ভুট্টা ও ৪৮ লাখ টন যব মিলতে পারে, বলেছে ইউক্রেইনের কৃষি মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেইন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শস্য ও তৈলবীজ উৎপাদক ও রপ্তানিকারক দেশ। কিন্তু রাশিয়া দেশটির বিশাল অংশ দখল করে নেওয়ার পর এবং গত মৌসুমের দ্বিতীয় ভাগে কৃষ্ণসাগরের উপকূলে অবস্থিত দেশটির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বন্দর অবরুদ্ধ করে রাখায় তাদের উৎপাদন ও রপ্তানি অনেকখানি কমে যায়।
২০২২ সালে ইউক্রেইন ২ কোটি ৫ লাখ টন গম, ২ কোটি ৫৬ লাখ টন ভুট্টা ও ৫৬ লাখ টন যব গোলায় তুলতে পেরেছিল। আগের বছর, শান্তিপূর্ণ ২০২১ সালে দেশটি নিজেদের জমি থেকে রেকর্ড ৮ কোটি ৬০ লাখ টন ফসল সংগ্রহ করেছিল।
“আগের তুলনায় কম জমিতে শস্য বোনার পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে গড় ফলনে অনুমিত হ্রাস, দুইয়ে মিলে সংগৃহীত ফসলের পরিমাণ কমে এসেছে,” বলেছে ইউক্রেইনের কৃষি মন্ত্রণালয়।
এবার শস্য বোনা হয়েছে আনুমানিক এক কোটি ২ লাখ হেক্টর জমিতে, যা গত বছরের তুলনায় ১৪ লাখ হে্ক্টর কম।
গত বছরের তুলনায় ৮ লাখ ৩৪ হাজার হেক্টর কমে এবার শীতকালীন গম বপন হয়েছে ৪১ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে; ভুট্টা চাষ হয়েছে ৩৬ লাখ হেক্টর জমিতে, আগের বছরের তুলনায় যা ৪ লাখ ৫১ হাজার হেক্টর কম।
লাভজনক পণ্যের কারণে বেশি জমিতে চাষ হওয়ায় তৈলবীজের উৎপাদন ২০২২ সালের ১ কোটি ৮২ লাখ টন থেকে বেড়ে এ বছর এক কোটি ৯২ লাখ টনে দাঁড়াবে বলেও ইউক্রেইনের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অনুমান।
সূর্যমুখী বীজ সংগ্হীত হতে পারে এক কোটি ১৫ লাখ টন, ২০২২ সালেও যা ছিল এক কোটি ১১ লাখ টন।
সরিষাবীজের উৎপাদনও গত বছরের ৩৭ লাখ টন থেকে থেকে বেড়ে ৩৮ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। সয়াবিন উৎপাদনও গত বছরের তুলনায় ৫ লাখ টন বৃদ্ধি পেয়ে ৩৯ লাখ টন হতে পারে।
চলতি মাসেই ইউক্রেইনের জাতীয় কৃষি বিজ্ঞান একাডেমি কম উৎপাদন ও তুলনামূলক কম জায়গায় শস্য চাষ হওয়ায় ২০২৩ সালে ফসল সংগ্রহের পরিমাণ ৩৭ শতাংশ কমে ৩ কোটি ৪০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে বলে ধারণা দিয়েছিল।