বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহকে পরাজিত করেন ৪৫ বছর বয়সী চীনঘেঁষা এই রাজনীতিবিদ।
Published : 25 Oct 2023, 05:04 PM
দ্বিতীয় দফার ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী মোহাম্মদ মুইজ্জু।
শনিবার রানঅফ ভোটে ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম সোলিহকে পরাজিত করেন ৪৫ বছর বয়সী চীনঘেঁষা এই রাজনীতিবিদ।
নির্বাচনের আগে ‘ভারত খেদাও’ স্লোগান দিয়ে আলোচনায় আসেন রাজধানী মালের মেয়র মুইজ্জু। প্রথম দফার ভোটেও ভারতপন্থি সোলিহর চেয়ে তিনি এগিয়ে ছিলেন। তবে কেউই তখন ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় শনিবার ফের ভোট হয়।
পরাজয় মেনে নিয়ে মুইজ্জুকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সোলিহ। আগামী ১৭ নভেম্বর নতুন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন করবেন।
৬১ বছর বয়সী সোলিহ ২০১৮ সালে মালদ্বীপিয়ান ডেমোক্রেট্কি পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। এরপর ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্ক শক্তিশালী করেন। নিজের মেয়াদে ‘ভারত প্রথম’নীতি অনুসরণ করে গেছেন তিনি।
পর্যটননির্ভর দেশটিতে এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চীন ও ভারতের মধ্যে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের লড়াইয়ের রূপ পায়। মালদ্বীপে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের প্রভাব রয়েছে। যে কারণে ভারত মহাসাগরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পর্যবেক্ষণের সক্ষমতা পেয়েছে দিল্লি। তবে প্রোগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স জোটের প্রার্থী মুইজ্জুর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো চীনের। ভারত মহাসাগরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আসতে চায় দেশটি। প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত সেটি আটকাতে চায়।
গত দশকে মালদ্বীপকে দুটি হেলিকপ্টার ও একটি ছোট উড়োজাহাজ দিয়েছে দিল্লি। ২০২১ সালে মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ভারতীয় উড়োজাহাজ পরিচালনায় দেশটির ৭৫ সামরিক কর্মকর্তা মালদ্বীপে রয়েছেন। এরপর বিরোধী দলগুলো ‘ভারত খেদাও’ প্রচারাভিযান শুরু করে। তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের মালদ্বীপ ছাড়ার দাবি তোলে।
প্রেসিডেন্ট সোলিহর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন প্রোগ্রেসিভ পার্টির (পিপিএম) আব্দুল্লাহ ইয়ামিন। তার মেয়াদে মালদ্বীপ চীনের আরও কাছে চলে যায় এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে যোগ দেয়। ইয়ামিন এখন দুর্নীতির অভিযোগে ১১ বছরের সাজা ভোগ করছেন।
কে এই মুইজ্জু
মোহাম্মদ মুইজ্জু ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাজ্যের লিডস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করেন। রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ২০১২ সালে তিনি মালদ্বীপের গৃহায়ন মন্ত্রী হন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনের ক্ষমতায় বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পে স্বাক্ষর করেন। ২০২১ সালে তিনি পিপিএমের প্রথম প্রার্থী হিসেবে মালের মেয়র পদে জয় পান।সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছিল ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)