Published : 25 Oct 2023, 01:36 PM
দুর্নীতির মামলায় সাজা পাওয়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার হওয়া এড়াতে আগে জামিন নিয়েছেন। মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাই কোর্ট তাকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন দেয় বলে জানান তার আইনজীবী।
আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা নিয়ে লন্ডনে দীর্ঘ চার বছরের স্বেচ্ছা নির্বাসন ছেড়ে গত শনিবার দেশে ফেরেন পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ। ২০১৭ সালে যিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে উৎখাত হন এবং পরের বছর দুর্নীতির দুটো মামলায় তার ১৪ বছরের সাজা হয়। সে সাজা কমিয়ে পরে সাত বছর করা হয়।
কয়েক মাস কারাভোগের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসা জনিত কারণে জামিন নিয়ে ২০১৯ সালের নভেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে যান। তারপর থেকে নওয়াজ সেখানেই বসবাস করছিলেন।
নওয়াজের আইনজীবী আজম নাজির তারার জানান, “যতদিন পর্যন্ত তিনি (নওয়াজ) শুনানির জন্য হাজির হতে না পারবেন, ততদিন পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে দেশটির দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার কোনো আপত্তি নেই। যার ভিত্তিতে আদালত তার সুরক্ষা জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন।”
নওয়াজের জামিনের মেয়াদ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তারপর তিনি আদালতে উপস্থিত হবেন। নিজের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার যে আবেদন নওয়াজ করেছেন আদালত সেটাও গ্রহণ করেছে বলে জানান তার আইনজীবী।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, আদালতে সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি দেশটির সরকারি কোনো পদ গ্রহণ করতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে সাজা বাতিলের আবেদনের মাধ্যমে নওয়াজের আগামী বছর জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ তৈরির সূচনা হলো।
চতুর্থবারের মত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়েই দেশে এসেছেন নওয়াজ। এ কথা তার দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছে। গত বছর পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে গিয়ে ইমরান খান ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলে পিএমএল-এন এর নেতৃত্বে তখনকার বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী হন নওয়াজের ভাই শাহবাজ শরীফ।
শাহবাজ সরকার দেশের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। যে কারণে তাদের দারুণ সমালোচিত হতে হয়েছে। অর্থনীতি পুনর্গঠনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই দেশে ফিরেছেন নওয়াজ।
এবারের নির্বাচনে তার সম্ভাব্য প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খান। যদিও তিনিও দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। নির্বাচনে অংশ নিতে ইমরানও তার সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।