ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনায় সহায়তা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বেইজিং। যার অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চীন সফরে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শুক্রবার আবর নিউজের খবরে বলা হয়, আগামী ১৩ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট আব্বাস চীনে অবস্থান করবেন।
এ বিষয়ে চীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস আগামী ১৩ থেকে ১৬ জুন রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে আসবেন।”
গত এপ্রিলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কুইন গ্যাং ফোনে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদ্বয়ের কাছে শান্তি আলোচনায় তার দেশের সহযোগিতার ইচ্ছার কথা প্রকাশ করেন।
চীনের রাষ্ট্রায়াত্ত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে তখন বলা হয়েছিল, কুইন ‘শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করার পদক্ষেপকে’ উৎসাহিত করে ফোনে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেনকে বলেছিলেন, ‘‘চীন এ বিষয়ে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে প্রস্তুত আছে।”
কুইন ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল-মালিকিকে বলেন, বেইজিং যত দ্রুত সম্ভব আলোচনা পুনরায় শুরু করার বিষয়টিকে সমর্থন করছে।
উভয় নেতার সঙ্গে ফোনালাপে কুইন আরো বলেছেন, চীন ‘দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান’ বাস্তবায়নের ভিত্তিতে শান্তি আলোচনার উপর জোর দিয়ে যাবে।
এদিকে, আব্বাসের সফরের বিষয়ে শুক্রবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট আব্বাস চীনের পুরাতন এবং ভালো বন্ধু। তিনিই এ বছর আরব দেশ থেকে চীনে রাষ্ট্রীয় সফরে আসতে চলা প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান। যা চীন-ফিলিস্তিন এর মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সুসম্পর্ককে সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরছে, যাদের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
‘‘ফিলিস্তিনের সমস্যাই মধ্যপ্রাচ্যে সংকটের মূলে। এটি মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারের উপর নির্ভর করছে।”
সম্প্রতি চীনের উদ্যোগেই মধ্যপ্রাচ্যের দুই আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে। ওই অঞ্চলে গত কয়েক দশক ধরে মূলত যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বিরাজমান ছিল।
২০১৪ সাল থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনা থমকে আছে।