ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে এ সপ্তাহেই: জাতিসংঘ

নতুন প্রাক্কলন বলছে, এপ্রিলের শেষ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫০ জনে পৌঁছবে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2023, 06:37 AM
Updated : 25 April 2023, 06:37 AM

ভারত চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ চীনকে টপকে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

নতুন প্রাক্কলন বলছে, এপ্রিলের শেষ নাগাদ ভারতের জনসংখ্যা ১৪২ কোটি ৫৭ লাখ ৭৫ হাজার ৮৫০ জনে পৌঁছবে।

জাতিসংঘের অন্য একটি সংস্থা গত সপ্তাহে বলেছিল, এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে জনসংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে যাবে ভারত।

বিবিসি জানিয়েছে, ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে এশিয়ার দেশগুলোর জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশের বেশি থাকছে।

৯৫ লাখ ৯৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের দেশ চীন আয়তনের দিক থেকে এশিয়ার বৃহত্তম। আর আকারে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভারতের আয়তন ৩২ লাখ ৮৭ হাজার বর্গকিলোমিটার। 

জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ক বিভাগ (ডিইএসএ) এক বিবৃতিতে বলেছে, “চীন শিগগিরই বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের তকমা হারাতে যাচ্ছে।”

Also Read: ‘সবচেয়ে জনবহুল দেশ’ হতে যাওয়া ভারত জানে না তার লোকসংখ্যা কত

Also Read: এ বছরের মাঝামাঝি জনসংখ্যায় চীনকে ছাড়াবে ভারত : জাতিসংঘ

Also Read: চীনে ৬১ বছরের মধ্যে প্রথমবার জনসংখ্যা কমলো

Also Read: মানুষ বেড়ে হচ্ছে ৮০০ কোটি, পৃথিবীর কী হবে?

জনসংখ্যার প্রাক্কলন এবং পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে যেহেতু কিছু অনিশ্চয়তা থাকে, সেহেতু কোন তারিখে ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে, তা আনুমানিক এবং পরিবর্তন হতে পারে।

জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল গত সপ্তাহে জানিয়েছিল, ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের জনসংখ্যা হবে চীনের চেয়ে ২৯ লাখ বেশি।

চীনের জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় ১৯৬১ সালের পর প্রথমবারের মত গত বছর দেশটির জনসংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। 

ডিইএসএ বলছে, চলতি শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই চীনের জনসংখ্যা ১০০ কোটির নিচে নেমে যেতে পারে। অন্যদিকে ভারতের জনসংখ্যা আরও কয়েক দশক ধরে বাড়তে থাকবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

অবশ্য ভারতেও প্রজনন হার কমছে। ১৯৫০ সালে যেখানে প্রত্যেক নারী গড়ে ৫.৭টি শিশুর জন্ম দিতেন, এখন তা নেমে এসেছে ২.২টি শিশুতে। 

২০২২ সালের নভেম্বরে বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটির ঘর অতিক্রম করে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি এখন আর আগের মত দ্রুত নয়। ১৯৫০ সালের পর এখনই সবচেয়ে ধীর গতিতে বাড়ছে বিশ্বের জনসংখ্যা।