ইউএনএফপিএ-এর এ বছরের প্রতিবেদনে আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখে। আর চীনের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৪২ কোটি ৫৭ লাখে।
Published : 19 Apr 2023, 07:06 PM
ভারত চলতি বছরের মাঝামাঝিতে চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ হওয়ার পথে রয়েছে । এই সময়ের মধ্যে চীনের চেয়ে ভারতের জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ বেশি হবে।
বুধবার জাতিসংঘের প্রকাশিত তথ্যে একথা জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)- এর এ বছরের ‘স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিপোর্ট’- এ আনুমানিক হিসাব দিয়ে বলা হয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখে। অন্যদিকে, চীনের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৪২ কোটি ৫৭ লাখে।
এশিয়ার এই দুই প্রতিবেশী দেশের একেকটির জনসংখ্যা ১৪০ কোটির বেশি। ৭০ বছর ধরে দেশ দুটির জনসংখ্যা বিশ্বের জনসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা জাতিসংঘের আগের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ মাসেই ভারতের জনসংখ্যা চীনকে ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা প্রকাশ করেছেন। তবে জাতিসংঘের বৈশ্বিক জনসংখ্যা প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট কোনও দিনের উল্লেখ করা হয়নি।
চীন এবং ভারত থেকে তথ্য নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় কোনও নির্দিষ্ট সময় বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিষয়ক কর্মকর্তারা। যেহেতু ভারতে সবশেষ আদমশুমারি হয়েছিল ২০১১ সালে এবং পরবর্তী আদমশুমারি ২০২১ সালে হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে তা পিছিয়ে গেছে।
ভারত এবং চীন দুই দেশেই বিশ্বের এক তৃতীয়াংশের বেশি জনসংখ্যা হলেও দু টি দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে পড়ছে। যদিও চীনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির গতি ভারতের চেয়ে অনেক বেশি।
তবে গত ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো গতবছর চীনের জনসংখ্যা কমে আসার খবর পাওয়া যায়। এর মানে হচ্ছে, আগামী বছরে চীনে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। যদিও দেশটি এক সন্তান নীতি থেকে সরে এসেছে এবং মানুষজনকে দুই সন্তান নিতে প্রণোদনা দিচ্ছে।
ওদিকে, ভারতেও সরকারি তথ্যমতে, ২০১১ সালে বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি ছিল গড়ে ১ দশমিক ২ শতাংশ, যা আগের দশকের ১ দশমিক ৭ শতাংশের তুলনায় কম।
কিন্তু জাতিসংঘ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউএনএফপিএ’র ২০২৩ সালের প্রতিবেদনের জন্য পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, ভারতে সাধারণভাবে মানুষ দেশের জনসংখ্যা এবং জন্মগ্রহণের হারও খুবই বেশি বলেই মত পোষণ করে।
এই বিপুল জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশজুড়েই আছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন ইউএনএফপিএ’র ভারতীয় প্রতিনিধি আন্দেরা। যদিও তিনি বলেন, এই জনসংখ্যা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া নয় বরং একে অগ্রগতি ও উন্নয়নের প্রতীক হিসাবেই দেখা উচিত।
পপুলেশন ফাউন্ডেশন অব ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা পুনম মুত্রেজা বলেন, ভারত জনসংখ্যা বৃদ্ধি সামাল দিতে সঠিক অনেক পদক্ষেপই নিয়েছে। তবে তিনি বলেন, একইসঙ্গে এটিও নিশ্চিত হওয়া দরকার যে, নারী ও শিশুদেরকে যেন বয়সের আগেই বিয়ে করা কিংবা সন্তান জন্মদানের দিকে ঠেলে দেওয়া না হয়।