সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ‘নিহত ৩৮’

এ হামলায় নিহতদের মধ্যে লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর ৫ সদস্য আছে বলে দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 March 2024, 09:11 AM
Updated : 29 March 2024, 09:11 AM

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আলেপ্পোয় ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার দুপুর রাতে চালানো এ হামলায় নিহতদের মধ্যে লেবাননের রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পাঁচ সদস্য আছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিরিয়ার দুই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন।  

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, আলেপ্পোতে ইসরায়েল ও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হামলায় বহু বেসামরিক ও সামরিক সদস্য নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় রাত প্রায় ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে আলেপ্পোর গ্রাম এলাকায় ইসরায়েল আকাশ হামলা চালায়। 

ইসরায়েলের আকাশ হামলার সময়টিতেই সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশ ও আলেপ্পোর গ্রামীণ পশ্চিমাঞ্চল থেকে আলেপ্পো শহর ও এর আশপাশে ড্রোন হামলা চালানো হয়। ‘সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো’ এসব ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে সিরীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে। 

রয়টার্স জানিয়েছে, এসব হামলায় কতোজন নিহত হয়েছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেনি মন্ত্রণালয়টি। হতাহতের ঘটনাগুলো ইসরায়েলি হামলায় না জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর হামলায় হয়েছে তাও পরিষ্কার করেনি তারা।

হামলায় সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

এ হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী সিরিয়ায় হামলা বৃদ্ধি করেছে ইসরায়েল। সিরিয়ায় ইরান সমর্থিত ‘জঙ্গি’ গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটিগুলোতে তারা হামলা চালাচ্ছে বলে দাবি করেছে দেশটি।

তবে তারা সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ও কিছু বাহিনীর বিরুদ্ধেও হামলা চালিয়েছে। 

২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পক্ষ নেয় প্রতিবেশী ইরান। গৃহযুদ্ধে জয় পেতে আসাদ বাহিনীকে সহায়তা করে ইরান ও রাশিয়া। এরপর থেকে সিরিয়ায় ইরানের প্রভাব বাড়তে থাকে।

হিজবুল্লাহসহ ইরানের মিত্র যোদ্ধারা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে এবং রাজধানী দামেস্কের আশপাশে বিশাল সব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে।

গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলাবর্ষণ করে চলছে। এসব পাল্টাপাল্টি হামলায় ইতোমধ্যে শতাধিক সামরিক-বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে।

২০০৬ সালে দুই পক্ষ মাসব্যাপী এক যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল। তারপর থেকে এবারই দুই পক্ষের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে সংঘাত চলছে।