ইউক্রেইন যুদ্ধে গোলাবারুদ ও কামানের শেলের মত অস্ত্র দরকার পড়ছে রাশিয়ার। পিয়ংইয়ংয়ের কাছে এসব অস্ত্র আছে প্রচুর।
Published : 13 Feb 2024, 11:40 PM
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সম্ভাব্য রাশিয়া সফর নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
চলতি মাসেই এই সফর হতে পারে। ইউক্রেইন যুদ্ধ চলমান অবস্থায় রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহে চুক্তি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা।
বিবিসির এক প্রতিবেদন বলছে, এই চুক্তি রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া- দুই দেশের জন্যেই লাভজনক হতে পারে।
ইউক্রেইন যুদ্ধে গোলাবারুদ ও কামানের শেলের মত অস্ত্র দরকার পড়ছে রাশিয়ার। পিয়ংইয়ংয়ের কাছে এসব অস্ত্র আছে প্রচুর।
অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞা-অনাহারে ভোগা উত্তর কোরিয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্য ও অর্থ। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে সীমান্ত বন্ধ রাখায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্র অবশ্য উত্তর কোরিয়ার অস্ত্রের চালান ঠেকানোর চেষ্টা করছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া জানতে চায়, অস্ত্রের বিনিময়ে রাশিয়ার কাছ থেকে উত্তর কোরিয়া কী পাচ্ছে।
যুদ্ধকে ঘিরে রাশিয়া যেহেতু অস্থির অবস্থায় রয়েছে। তাই কিম জং উন অস্ত্রের উচ্চমূল্য দাবি করতে পারেন। তিনি রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সহায়তা বাড়ানোর দাবিও করতে পারেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু তার দেশের সঙ্গে চীন ও উত্তর কোরিয়াকে যৌথ নৌ মহড়া চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন। কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান চালিয়েছে এমন মহড়া। ভবিষ্যতেও রাশিয়ার অস্ত্রও চাইতে পারেন কিম।
এশিয়ান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের রিসার্চ ফেলো ইয়াং উকের মতে, যদি তেল ও খাবারের বিনিময়ে রাশিয়া অর্থ পরিশোধ করে, তাহলে সেটি উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে। এটি উত্তর কোরিয়ার জন্য আয়ের অতিরিক্ত সুযোগ, যে সুযোগ দেশটির ছিল না।
গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি ও ব্যবসা থামাতে ১৫ বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার নেটওয়ার্ক তৈরি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে রাশিয়া এখন গোটা ব্যবস্থাকে ভেস্তে দিতে পারে।” সংবাদ সূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)