দুই দেশই ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ তকমা পেয়েছে।
Published : 06 Feb 2024, 04:42 PM
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের মধ্যে অনেক বিষয়ে মিল আছে। দুজনের কেউই খুব একটা বাইরে যান না। পুতিন চলতি বছর রাশিয়ার বাইরে যাননি। কিমের ক্ষেত্রে সময়টা চার বছর।
দুই দেশই ‘দুর্বৃত্ত রাষ্ট্র’ তকমা পেয়েছে। দুই দেশের ওপরই কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া দুইই যুক্তরাষ্ট্রের ‘আধিপত্যের’ বিরুদ্ধে সোচ্চার।
দুই দেশেরই শত্রু এক, মূলত সে কারণে পুতিন ও কিম পরস্পরের কাছাকাছি এসেছেন। তারা এখন প্রকৃতই প্রয়োজনের বন্ধু।
২০২৩ সালের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতায় তাদের বন্ধুত্ব আরও নিবিড় হয়েছে। এই বন্ধুত্ব থেকে দুজনই লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন।
পুতিন ও কিমের এই সম্পর্ক থেকে ক্রেমলিনের লাভ হল, ইউক্রেইন যুদ্ধে রাশিয়ার অস্ত্রের বড় জোগানদাতা হয়ে উঠতে পারে উত্তর কোরিয়া; কারণ, দেশটির আছে বিশাল প্রতিরক্ষা শিল্প খাত এবং ব্যাপক মাত্রার উৎপাদন ক্ষমতা।
ইউক্রেইনে পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে পুতিন বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থাকে রাশিয়ার পছন্দ অনুযায়ী পাল্টে দেওয়ার সংকল্পের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এবার উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার সামরিক সহযোগিতা হতে পারে এর আরেক ইঙ্গিত।
খাদ্যঘাটতি দূর করতে রাশিয়ার কাছ থেকে মানবিক সহায়তা এবং উন্নত প্রযুক্তি পাওয়ার আছে উত্তর কোরিয়ার। অন্যদিকে যুদ্ধের জন্য অস্ত্রের মজুদ গড়তে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চুক্তিতেও যেতে পারে রাশিয়া।
তার মানে এই নয় যে, উত্তর কোরিয়ার সাহায্য ছাড়া রাশিয়া যুদ্ধ চালাতে পারবে না। পুতিন এর জন্য মরিয়া নন। তবে তিনি দীর্ঘদিন এ যুদ্ধ টিকিয়ে রাখতে পারেন বলে মনে করেন রাশিয়ার সাবেক একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
নিষেধাজ্ঞা কীভাবে এড়ানো যায় এবং চীন, উত্তর কোরিয়া ও আফ্রিকার কিছু দেশের সঙ্গে সহযোগিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে প্রতিদিনই কাজ করছেন পুতিন। এটি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প নয়। তবে বর্তমানের জন্য বিকল্প এবং আরও অনেক বছর ধরে তা চলতে পারে।
সংবাদসূত্র: বিবিসি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)