Published : 05 May 2025, 11:42 AM
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল যদি হামলা চালায় তাহলে তেহরানও পাল্টা জবাব দেবে।
ইয়েমেনের হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের কাছে পড়ার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এর পাল্টায় ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন। তার পরপরই রোববার ইরানি প্রতিরক্ষমন্ত্রীর এ মন্তব্য আসে।
“যদি যুক্তরাষ্ট্র বা জায়নবাদী শাসকরা (ইসরায়েল) যুদ্ধ শুরু করে দেয়, তাহলে তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট স্থাপনা, ঘাঁটি ও বাহিনীকে ইরান নিশানা বানাবে- যে কোনো সময়, যে কোনো জায়গায়,” ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে নাসিরজাদেহ এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রোববার ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুতিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলি প্রধান বিমানবন্দরের কাছে পড়ায় তেল আবিব বেশ চটেছে। হুতিরা বলছে, গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানাতেই তারা এ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
“হুতিদের হামলার নির্দেশ ইরান থেকেই আসে। আমাদের প্রধান বিমানবন্দরে হুতি হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল এবং আমাদের বেছে নেওয়া সময় ও জায়গায় তাদের ইরানি সন্ত্রাসী প্রভুদেরও জবাব দেওয়া হবে,” সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এমনটাই লিখেছিলেন নেতানিয়াহু।
যদিও নাসিরজাদেহ বলছেন, হুতিরা কী করবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তারাই নেয়। হুতিদের নিয়ে ইরান সরকারের আনুষ্ঠানিক অবস্থানও এরকম।
হুতিরা বলে আসছে, তারা হামাস যোদ্ধাদের প্রতি সমর্থন জানিয়েই ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ছুড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্র গত ১৫ মার্চ থেকে ইয়েমেনের হুতি ঘাঁটিগুলোতে লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানসমর্থিত এ গোষ্ঠীটির যে কোনো হামলার জন্য তেহরানকেই দায়ী করা হবে, বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
“প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি কোনো বৈরিতা নেই ইরানের। কিন্তু কোনো হামলা হলে এই অঞ্চলে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলোকে নিশানা বানানোর কথা বিবেচনা করবে ইরান,” বলেছেন নাসিরজাদেহ।
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এ বক্তব্যের দিনই ইরান তাদের নতুন সলিড-ফুয়েল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘কাশেম বসির’ সামনে এনেছে, যার পাল্লা এক হাজার ২০০ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।