বন্যার ঝুঁকি এড়াতে প্রদেশজুড়ে শত শত রাসায়নিক প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে।
Published : 27 Jul 2024, 06:44 PM
টাইফুন গায়েমির প্রভাবে চীনের উত্তরপূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টি হতে থাকায় বন্যার ঝুঁকি এড়াতে ওই অঞ্চলের ২৭ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং শত শত কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্তা বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এসব খবর দিয়েছে।
চীনের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ ফুজিয়ানের উপকূল দিয়ে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত প্রায় ৮টার দিকে গায়েমি তাইওয়ান প্রণালী পার হয়ে স্থলে উঠে আসে। এটি চলতি বছর চীনের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলে আঘাত হানা তৃতীয় ও সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। শুক্রবার গায়েমি ফুজিয়ান প্রদেশের শহরগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়ার সময় প্রবল ঝড় ও ভারি বৃষ্টির কারণ হয়।
এরপর টাইফুনটি দক্ষিণপূর্ব উপকূল থেকে দেশটির ভেতরের জনবহুল এলাকার দিকে এগিয়ে যায়।
রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের আঘাত হানার আগে ফিলিপিন্সে ও তাইওয়ানে গায়েমির প্রভাব ও তাণ্ডবে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। ফিলিপিন্সের উপকূলে একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার ও তাইওয়ানের উপকূলে একটি মালাবাহী জাহাজ ডুবে যায়। টাইফুনটির প্রভাবে ভারি বৃষ্টির কারণে দেশ দুটিতে হঠাৎ ব্যাপক বন্যা ও বহু ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
সিনহুয়া জানিয়েছে, গায়েমির কারণে চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদের প্রায় অর্ধেককে তাদের ঘরবাড়ি থেকে অন্য এলাকায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভারি বৃষ্টির কারণে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় লিয়াওনিং প্রদেশের ৪০টি জলাধারের পানির স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববারের শুরু থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত অঞ্চলটিতে মুষলধারে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
সিনহুয়া জানায়, বন্যার ঝুঁকি এড়াতে প্রদেশজুড়ে শত শত রাসায়নিক ও খনি কোম্পানিগুলো তাদের কার্যক্রম স্থগিত করেছে এবং ওই শিল্পাঞ্চলের হাজার হাজার বাসিন্দাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বুধবার রাতে তাইওয়ানে আঘাত হানার পর দ্বীপটির ওপর দিয়ে দমকা হওয়াসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২৭ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে বয়ে যায় গায়েমি। এটি পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে রেকর্ড করা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর অন্যতম।
আরও পড়ুন:
চীনের উপকূলে আঘাত হেনেছে টাইফুন গায়েমি, ব্যাপক বন্যার আশঙ্কা