যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেইনে সামরিক সহাযতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পোলিশদের মধ্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
Published : 07 Mar 2025, 11:45 PM
পোল্যান্ডে সব পুরুষের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্ক। এ লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পোল্যান্ডের পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে টাস্ক বলেন, সরকারের লক্ষ্য আগামী কয়েক মাসেই বিস্তারিত তথ্য জানানো। পোল্যান্ডে “প্রাপ্তবয়স্ক সব পুরুষের জন্য ব্যাপক মাত্রায় সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
“এবছরের শেষেই আমরা একটি মডেল প্রস্তুত করার চেষ্টা করব। যাতে পোল্যান্ডের প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ যুদ্ধকালে প্রশিক্ষিত থাকতে পারে এবং সম্ভাব্য হুমকির ক্ষেত্রে এই রিজার্ভ বাহিনী সমতুল্য এবং পর্যাপ্ত হয়।”
টাস্ক জানান, ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীর ৮ লাখ সেনা আছে। রাশিয়ার আছে ১৩ লাখ সেনা। আর তিনি রিজার্ভ সেনাসহ পোলিশ সেনাবাহিনীর আকার বাড়াতে চান, যে সংখ্যা দাঁড়াবে এখনকার প্রায় ২ লাখ থেকে ৫ লাখে।
তিনি বলেন, “আমরা পোল্যান্ডে ৫ লাখ সদস্যের সেনাবাহিনী গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার কথা বলছি, যার মধ্যে থাকবে রিজার্ভ সেনাও। আমি এ বিষয়ে অবিরাম প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছি। মনে হচ্ছে যদি আমরা বিচক্ষণভাবে বিষয়গুলো সংগঠিত করি তাহলে আমাদেরকে কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে হবে।”
“এর মানে হচ্ছে, রিজার্ভ সেনাদের পাশাপাশি যারা কখনও পুরোপুরিভাবে সেনাবাহিনীতে যায়নি এবং যুদ্ধের সময় দক্ষ সেনা ছিল না তাদেরকেও নিবিড় প্রশিক্ষণ দিতে হবে”, বলেন তিনি।
টাস্ক বলেন, “নারীরাও সামরিক প্রশিক্ষণ নিতে পারে। কিন্তু যুদ্ধটা এখনও বৃহত্তর পরিসরে পুরুষদেরই লড়াইয়ের ক্ষেত্র।”
বিবিসি লিখেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেইনে সামরিক সহাযতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় পোলিশদের মধ্যে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
পোল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিকই মনে করে ইউক্রেইনকে সমর্থন দেওয়াটা তাদের নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই প্রয়োজন।