ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থের জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
Published : 18 Apr 2025, 02:16 PM
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা আবেদনকারী ব্যক্তিদের মধ্যে যারা ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা এরপর গাজায় গিয়েছিলেন, তাদের স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
অভিবাসী কিংবা অভিবাসী নয় এমন সকল ভিসাধারীরাই এ সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই-বাছাইয়ে পড়বেন; এতে বেসরকারি সংস্থার কর্মীরা যেমন থাকবেন তেমনি থাকবেন সেই ব্যক্তিরাও যারা সরকারি বা কূটনীতিক কাজে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে গিয়েছিলেন, তা তারা যত অল্প সময় বা ক্ষণই সেখানে থাকেন না কেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সকল কূটনৈতিক ও কনস্যুলার মিশনে এ সংক্রান্ত যে তারবার্তা পাঠিয়েছে, বার্তা সংস্থা রয়টার্স তা দেখেছে।
“সোশ্যাল মিডিয়া পর্যালোচনায় যদি নিরাপত্তা-সম্পর্কিত কোনো সন্দেহজনক বা ক্ষতিকর তথ্য উঠে আসে, তাহলে ওই আবেদনকারীর একটি ‘সিকিউরিটি অ্যাডভাইজরি ওপিনিয়ন’ (এসএও) দাখিল করতে হবে,” বার্তায় বলা হয়।
এসএও হচ্ছে এক ধরনের আন্তঃসংস্থাগত তদন্ত, যার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়—ভিসা আবেদনকারী যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি কি না।
ট্রাম্প প্রশাসন এরইমধ্যে ১৯৫২ সালের অভিবাসন আইনের আওতায় বৈধ স্থায়ী বাসিন্দাসহ অসংখ্য ব্যক্তির মার্কিন ভিসা বাতিল করেছে। এই আইনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যদি মনে করেন, কোনও অভিবাসীর উপস্থিতি তার দেশের পররাষ্ট্রনীতির জন্য ক্ষতিকর, তাহলে তাকে বহিষ্কারের সুযোগ রয়েছে।
১৭ এপ্রিলের পাঠানো এই তারবার্তায়ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর স্বাক্ষর আছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তার মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র তারবার্তাটি সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি। কেবল বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য প্রত্যেক আবেদনকারীকে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কঠোর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান, এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলার কারণে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে শিক্ষার্থী ভিসায় দেশটিতে থাকা অনেককে দেশে ফেরত পাঠিয়েছে, কাউকে কাউকে আটকও করেছে।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অবস্থান এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলাকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থের জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
অন্যদিকে ট্রাম্পের সমালোচকরা একে দেখছেন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে।