ইরানে ইসলামিক রেভ্যুলেশনের পর দেশটিতে এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
Published : 04 Jan 2024, 10:46 PM
ইরানে প্রয়াত শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির মৃত্যুবার্ষিকীর আয়োজনে জোড়া বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি দল ইসলামিক স্টেট।
বৃহস্পতিবার আইএস তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি পোস্টে বুধবারের ওই হামলার দায় স্বীকার করে বলে, তাদের দুই যোদ্ধা ভিড়ের মধ্যে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে।
২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ইরানের অভিজাত ইসলামি রেভ্যুলেশনারি গার্ডের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার সোলেমানি নিহত হন। যার মৃত্যু ঘিরে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের দামামা প্রায় বেজে উঠেছিল।
বুধবার সোলেমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইরানের দক্ষিণপূর্বের নগরী কেরমানে তার কবরের পাশে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল বলে জানায় ইরানি কর্তৃপক্ষ।
সোলেমানির কবর জিয়ারত করতে আসা ভিড়ের মধ্যে ওই হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়। আহত হয়েছে আরো ২৮৪ জন। যাদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামিক রেভ্যুলেশনের পর দেশটিতে এটিই ছিল সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা। তেহরান যাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করে এর প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করেছে।
আইএস এর দায় স্বীকারের আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনায় সোলেমানির কবরের কাছে বিস্ফোরণের প্রথমটি ‘আত্মঘাতী বোমা হামলা ছিল’ বলে জানানো হয়। বলা হয়, “দ্বিতীয় বিস্ফোরণের কারণও সম্ভবত একই ছিল।”
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বুধবারের ওই হামলার নিন্দা জানিয়ে সেটিকে ‘কাপুরোষিত সন্ত্রাসী হামলা’ বলে বর্ণনা করেছে। সেইসঙ্গে ইরান সরকার এবং হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
বুধবারের ওই হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে কেরমান সহ ইরানের এক ডজনের বেশি নগরীতে লোকজন রাস্তায় নেমে ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’, ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ বলে মিছিল করেছে।
জোড়া বোমা হামলায় নিহতদের দাফন কাজ শুক্রবার সম্পন্ন হবে। যেদিন দেশজুড়ে গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।