কাসেম সোলেমানির কবরের কাছে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে শতাধিক

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেমানি নিহত হন। যার মৃত্যু ঘিরে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের দামামা প্রায় বেজে উঠেছিল।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2024, 01:55 PM
Updated : 3 Jan 2024, 01:55 PM

ইরানের অভিজাত ইসলামি রেভ্যুলেশনারি গার্ডের অন্যতম শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানির কবরের কাছে বুধবার দুইটি বোমার বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা ইরনা কে বলেন, “কেরমানে শহীদ কাসেম সোলেমানির কবরের দিকে যাওয়ার পথে আগে থেকে দুইটি বিস্ফোরক পুঁতে রাখা হয়েছিল। সন্ত্রাসীরা দূর থেকে রিমোটের মাধ্যমে সেগুলোর বিস্ফোরণ ঘটায়।”

ইরানের জরুরি পরিষেবার মুখপাত্র বাবাক ইয়েকতাপারাস্ত প্রাথমিকভাবে ৭৩ জন নিহত এবং ১৭০ জন আহত হওয়ার খবর দেন। কিন্তু পরে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিহতের সংখ্যা শতাধিক বলে জানানো হয়।

এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি বলে জানায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

Also Read: কাসেম সোলেমানির মৃত্যু: পাল্টাপাল্টির বলি, নাকি নতুন যুদ্ধের দামামা

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় কাসেম সোলেমানি নিহত হন। যার মৃত্যু ঘিরে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের দামামা প্রায় বেজে উঠেছিল।

বুধবার সোলেমানির চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইরানের দক্ষিণপূর্বের নগরী কেরমানে তার কবরের পাশে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিল বলে জানায় ইরানি কর্তৃপক্ষ।

বুধবার সন্ধ্যায় ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি সেখানে প্রথমে একটি বিস্ফোরণের খবর দেয়। পরে কেরমানের সাহেব আল-জামান মসজিদের পাশে জমায়েত হওয়ার মানুষের ভিড়ে দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণের খবর আসে।

কেরমান প্রদেশের স্থানীয় এক কর্মকর্তাও বলেন, “সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে।”

হামলার পর রেড ক্রিসেন্টের উদ্ধারকর্মীদের ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ চালাতে দেখা গেছে।

ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর মসজিদের আশেপাশের সড়কে অসংখ্য ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির ‘সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি’ মনে করা হতো কাসেম সোলেমানিকে।

রেভ্যুলেশনারি গার্ডের কমান্ডার হিসেবে বহির্বিশ্বে বাহিনীটির কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কুদস ফোর্সের দেখভাল করতেন সোলেমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূরাজনৈতিক কৌশল তৈরির নেপথ্য কারিগর হওয়ায় তাকে তেহরানের মধ্যপ্রাচ্য নীতির স্থপতি হিসেবে মনে করা হতো।

সোলেমানিকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির জন্য হুমকি মনে করত ওয়াশিংটন। পেন্টাগন ও মোসাদের ‘শীর্ষ সন্ত্রাসীর তালিকায়’ যার নাম ছিল।