মস্কো পৌঁছতে হলে প্রিগোজিনের বাহিনীকে এমন অঞ্চলগুলোর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যেখানে ইতোমধ্যেই বিশেষ ‘সন্ত্রাসবিরোধী শাসন’ জারি হয়েছে।
Published : 24 Jun 2023, 04:38 PM
ক্রেমলিনের বিদ্রোহের অভিযোগের মুখে থাকা রাশিয়ার মিলিশিয়া বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ-অন-ডন শহর তার নিয়ন্ত্রণে আছে বলে দাবি করে সেখান থেকে বাহিনী নিয়ে মস্কো যাওয়া হুমকি দিয়েছেন।
কিন্তু তাত্ত্বিকভাবে তিনি কি রাজধানীতে পৌঁছতে পারবেন, নাকি এটি শুধুমাত্র অতি ঝুঁকি নিয়ে ক্রেমলিনকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা?
প্রিগোজিনের এই হুমকির বাস্তব সম্ভাবনা কতোটা তা এক সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণে তুলে ধরেছে বিবিসি।
প্রিগোজিনের দাবি, তার কমান্ডে ২৫ হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা আছে। এদের অধিকাংশই ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলে কয়েক মাস ধরে তীব্র লড়াইয়ে যুক্ত ছিল।
তবে সম্প্রতি প্রিগোজিন তার সেনাদের রোস্তভ ও বেলগোরোদসহ রাশিয়ার সীমান্ত অঞ্চলগুলোতে সরিয়ে নিতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু তারপরও তার অধিকাংশ যোদ্ধাই এখনও রাশিয়ার রাজধানী থেকে অনেক দূরে।
মস্কো পৌঁছতে হলে প্রিগোজিন ও তার সেনাদের কয়েকশ মাইল পাড়ি দিতে হবে, রাশিয়ার এমন অঞ্চলগুলোর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যেখানে ইতোমধ্যেই বিশেষ ‘সন্ত্রাসবিরোধী শাসন’ জারি করা হয়েছে।
নিশ্চিত করা হয়নি এমন কয়েকটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার মস্কোর পথে রওনা হওয়ার পর মধ্যপথে ভারোনেশ অঞ্চলে ওয়াগনারের একটি সামরিক বহরে বিমান হামলা চালানো হয়েছে।
রস্তোভ-অন-দন ও মস্কোর মাঝামাঝি এই অঞ্চলের প্রধান শহর ভারোনেশের সামরিক স্থাপনাগুলো ওয়াগনার বাহিনীর দখলে চলে গেছে বলে বিবিসির সূত্রগুলো জানিয়েছে।
প্রিগোজিন এবং রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, উভয়ই এখন সক্রিয়ভাবে বিরোধী পক্ষের সশস্ত্র ব্যক্তিদের আনুগত্য পরিবর্তন করার আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে কে যে কার চেয়ে বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে আছে তা পরিষ্কার নয়।
বিশাল এই দেশটিতে নতুন একটি গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে, ইতোমধ্যেই এমন আলাপ শুরু হয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন:
‘অপরাধমূলক অ্যাডভেঞ্চারের’ নিন্দা পুতিনের