মস্কো সফরকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং রুশ প্রেসিডেন্টের বৈঠকের দিনই ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভ এবং একটি শিশু হাসপাতালে রাশিয়ার হামলায় ৪১ জন নিহত হয়।
Published : 09 Jul 2024, 07:12 PM
ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠককে ‘অনেক বড় হতাশা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় বিপর্যয়কর ধাক্কা’ বলে সমালোচনা করেছেন।
মোদী এবং পুতিনের এই বৈঠকের দিনই সোমবার রাশিয়া ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোসহ একটি শিশু হাসপাতালে হামলা করেছে। হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী এই দিনেই মস্কোর বাইরে নভো-ওগারিওভোতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আর সেখান থেকে মাত্র ৬ শ মাইল দূরেই রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেইনের বিভিন্ন নগরীতে আঘাত হানে।
পুতিনের আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কোয় যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রায় পাঁচ বছর পর তিনি এ সফর করলেন। তাছাড়া, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম সেদেশে পা রেখেছেন মোদী।
ইউক্রেইন যুদ্ধের মুখে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একঘরে করে রাখতে পশ্চিমা বিশ্বের চেষ্টার মধ্যেও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এই সফর এমন ইঙ্গিতই দিয়েছে যে, তিনি মস্কোর সঙ্গে নিজের কূটনৈতিক পথে অটল রয়েছেন।
সিএনএন জানায়, সোমবার পুতিন-মোদী সাক্ষাতের ছবি ও ভিডিও সামনে আসলে দেখা যায়, তারা দুইজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন, চা পান করছেন, বিদ্যুতায়িত যানে চড়ছেন এবং ঘোড়দৌড় দেখছেন।
দুই নেতার এই সখ্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক্সে এক পোস্টে লিখেছেন, “বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নেতাকে মস্কোয় বিশ্বের সবচেয়ে রক্তপিপাসু অপরাধীকে আলিঙ্গন করতে দেখা অত্যন্ত হতাশাজনক এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় বিপর্যয়কর ধাক্কা।” রাশিয়ার হামলার কথা উল্লেখ করে জেলেনস্কি একথা বলেন।
তবে মোদী মঙ্গলবার রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠককালে সরাসরি এই হামলার বিষয়ে কিছু বলেননি। যদিও তিনি বলেছেন, যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সংকটের কোনও সমাধান হওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে শান্তি ও সংলাপের মধ্য দিয়ে তা হতে পারে।
মোদী এও বলেন, বিশ্ব তার এই রাশিয়া সফর নজরে রেখেছে এবং নানাভাবে এর ব্যাখ্যা করছে। তিনি বলেন, “ভারত শান্তি অর্জনের জন্য রাশিয়াকে সম্ভাব্য সবভাবে সমর্থন করে যেতে প্রস্তুত। আমি আপনাকে এবং বিশ্বকে আশ্বস্ত করছি যে, গতকাল আমার বন্ধু পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পর আমি আশাবাদী।”