নিজেদের মত শর্ত পূরণের সাপেক্ষে হামাস এবং ইসরায়েলও গাজায় ‘মানবিক’ বিরতির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
Published : 27 Nov 2023, 01:42 PM
যতদিন জিম্মি মুক্তি অব্যাহত থাকবে তত দিন ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে ‘মানবিক’ বিরতির মেয়াদ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
‘মানবিক’ বিরতির তৃতীয় দিন রোববার আরো ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। যাদের মধ্যে মাত্র চার বছর বয়সের একটি ইসরায়েলি আমেরিকান মেয়েও রয়েছে। সোমবার চার দিনের ‘মানবিক’ বিরতির চূড়ান্ত দিন।
হামাস বলেছে, তারাও অস্থায়ী এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায়। যদি ইসরায়েল আরো ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের মুক্তি দিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করে।
রোববার ৩৯ অপ্রাপ্ত বয়স্ক ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। এ নিয়ে গত তিনদিনে ১১৭ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলো।
কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর ৪৮ দিন পর গত শুক্রবার থেকে গাজায় চার দিনের ‘মানবিক’ বিরতি শুরু হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির এই চার দিনে হামাস অন্তত ৫০ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি অন্তত ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে এবং গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি এক লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাস ভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশের অনুমোদন দেবে।
রোববার হামাস ১৩ ইসরায়েলি, থাইল্যান্ডের তিনজন এবং রাশিয়ার পাসপোর্টধারী একজনকে রেড ক্রসের হাতে তুলে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রস কর্তৃপক্ষ মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের সফলভাবে গাজা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তি পাওয়া চার বছরে ইসরায়েলি আমেরিকান মেয়েটির নাম অ্যাবিগিল এডান। গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা তার চোখের সামনেই তার বাবা-মা কে হত্যা করে এবং তাকে ধরে নিয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বাইডেন বলেন, “সে যা সহ্য করেছে তা কল্পনাতীত।”
ইসরায়েলে পৌঁছানোর পর অ্যাবিগিলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারা দাদা কারমেল এডান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নাতনিকে ফিরে পাওয়ার বিষয়টি তিনি এখনও ‘বিশ্বাস করতে পারছেন না’। এজন্য তিনি বাইডেনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি জিম্মি মুক্তির বিষয়ে রোববার বাইডেনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সেইসঙ্গে তিনি এটাও বলেন, যদি প্রতিদিন অন্তত ১০ জন করে জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয় তবে তিনি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাবকে স্বাগত জানাবেন।
তবে বাইডেনকে তিনি আরো বলেছেন, “যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলে আমরা পুনরায় পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে ফিরে যাব এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ অব্যাহত রাখবো। আর আমাদের লক্ষ্য হলো: হামাসকে নির্মূল করা, গাজা যা ছিল সেখানে যেনো আর কখনো ফিরে যেতে না পারে সেটা নিশ্চিত করা এবং অবশ্যই আমদের সকল জিম্মির মুক্তি নিশ্চিত করা।”
যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে ১৪ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস