দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে শুনানিতে হাজির হবেন না- জানিয়েছেন তার আইনজীবী
Published : 12 Jan 2025, 05:30 PM
দক্ষিণ কোরিয়ার বরখাস্ত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের কারণে তার অভিশংসন বিচারের প্রথম শুনানিতে হাজির হবেন না।
তার আইনজীবীর বরাত দিয়ে রোববার একথা জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ বার্তা সংস্থা। ইউনকে স্থায়ীভাবে ক্ষমতা থেকে সরানো হবে নাকি ক্ষমতায় পুনর্বহাল করা হবে সে সিদ্ধান্ত নিতেই শুরু হয়েছে এই বিচারকাজ।
ইউনের আইনজীবী ইয়ুন কাব-কেউন বলেছেন, “দুর্নীতি তদন্ত কার্যালয়ের (সিআইও) কর্মকর্তারা এবং পুলিশ অবৈধ ও অকার্যকর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা অবৈধ পদ্ধতিতে কার্যকর করার চেষ্টা করছে। এতে ইউনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও দুর্বিপাক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
“প্রেসিডেন্ট অভিশংসন বিচারে হাজির হতে হলে তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি সমাধা হতে হবে।”
সাংবিধানিক আদালতে ইউন সুক-ইওলের অভিশংসন শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে মঙ্গলবার।
দক্ষিণ কোরিয়ায় হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি এবং চাপের মুখে তা প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে গত ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিসংশিত হওয়ার পর সাময়িকভাবে বরখাস্ত হয়েছেন ইউন সুক-ইওল।
দুর্নীতি বিরোধী কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অপরাধ তদন্তের আওতায় তাকে দ্বিতীয়বার গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেছিলেন। ৩ জানুয়ারিতে ইউনকে গ্রেপ্তারের একটি চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ইউনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টায় বাধা দিয়েছিল তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রেসিডেনশিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস)।পুলিশ কর্মকর্তা ও সিআইও সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল প্রেসিডেন্টকে গ্রেফতার করতে তার বাসভবনে গিয়েছিল।
২০ সদস্যের একটি দল নিয়ে অভিযান শুরু হলেও দ্রুতই তা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়ায়। দলের প্রায় অর্ধেক সদস্য ভেতরে ঢুকতে পারলেও ইউনের নিরাপত্তা দল এবং সিউল শহর রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি সামরিক ইউনিট তাদের অবরুদ্ধ করে ফেলে।
এক পর্যায়ে নিরাপত্তা দলটি প্রেসিডেন্টের বাসভবনে সিআইওর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে তদন্তকারীরা গ্রেপ্তারের চেষ্টা থেকে সরে আসেন এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করেন। মূলত সংঘর্ষের আশঙ্কায় তদন্তকারীরা বেরিয়ে আসেন।
তদন্তকারীরা এ সপ্তাহে নতুন গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। কারণ ইউন বারবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হওয়ার সমন অগ্রাহ্য করছেন। ইউনের আইনজীবীরা গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটিকে অবৈধ বলে অভিহিত করেছেন।
ইউন ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়ার তাকে সাংবিধানিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যে, তিনি প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন নাকি স্থায়ীভাবে তাকে অপসারণ করা হবে। তার আইনজীবীরা বলছেন, আদালতে যে সিদ্ধান্ত হবে তিনি তা মেনে নেবেন।