মালয়েশিয়ার অবকাশযাপন দ্বীপ লংকাউই দক্ষিণপশ্চিম দিকে দুই নটিক্যাল মাইল দূরে দু’টি নৌকায় মিয়ানমারের এসব শরণার্থীরা ছিল।
Published : 05 Jan 2025, 02:55 PM
মিয়ানমারের নথিবিহীন প্রায় ৩০০ অভিবাসন প্রত্যাশীকে বহনকারী দু’টি নৌকাকে মালয়েশিয়ার কোস্টগার্ড তাদের জলসীমা থেকে পাহারা দিয়ে বের করে দিয়েছে।
মালয়েশিয়ান মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি (এমএমইএ) শনিবার জানিয়েছে, শুক্রবার মালয়েশিয়ার অবকাশযাপন দ্বীপ লংকাউই দক্ষিণপশ্চিম দিকে দুই নটিক্যাল মাইল দূরে নৌকা দু’টি দেখা যায়। খাবার ও পানি না থাকায় নৌকা দু’টির আরোহীরা সবাই কাহিল অবস্থায় ছিল। তখন কর্তৃপক্ষ তাদের খাবার ও পানযোগ্য পরিষ্কার পানি সরবরাহ করে।
এমএমইএ-র মহাপরিচালক মোঃ রোজলি আব্দুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “নৌকাগুলোর গতিপথের বিষয়ে আরও তথ্য পেতে আমরা থাই এনফোর্সমেন্ট এজেন্সিগুলোর সঙ্গেও নিবিড় সহযোগিতা বজায় রেখে চলেছি।”
ওই অভিবাসন প্রত্যাশীরা রোহিঙ্গা কি না, তা পরিষ্কার করেনি মালয়েশীয় কোস্টগার্ড। রোহিঙ্গারা বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিম জনগোষ্ঠী। নিজ দেশে তারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছে আর তাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করা হয় না।
রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার মিয়ানমারের অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী একটি নৌকা লাংকাউই দ্বীপের সৈকতে আসার পর মালয়েশীয় পুলিশ নথিবিহীন ১৯৬ জনকে আটক করে। পুলিশ জানায়, তাদের মধ্যে ৭১ জন শিশু ও ৫৭ জন নারী। তারা সবাই জাতিগত রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার আরেক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, আটক সব অভিবাসন প্রত্যাশীকে নথিভুক্ত ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বহু বছর ধরে অনেক রোহিঙ্গ কাঠের নৌকায় করে সাগরপথে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। তারা কেউ কেউ আরেক প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও যাওয়ার চেষ্টা করছে। সাধারণত অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সাগর যখন অপেক্ষাকৃত শান্ত থাকে তখনই তারা এ প্রচেষ্টায় নামে।
মালয়েশিয়া শরণার্থীদের স্বীকৃতি দেয় না। সম্প্রতি তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বহনকারী নৌকাগুলো ফিরিয়ে দিচ্ছে। দেশটি নথিবিহীন অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শুরু করার পর হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করে জনকীর্ণ কারাগারগুলোতে বন্দি করে রেখেছে।