দুবাইয়ে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠকের পর আফগানিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে একথা বলা হয়।
Published : 09 Jan 2025, 08:32 PM
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ভারতকে ‘‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার’’ হিসেবেই দেখে। দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে এক বৈঠকের পর আফগান তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে এমন কথা বলা হল।
২০২১ সালে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বুধবার কাবুল ও দিল্লির মধ্যে সবচেয়ে উচ্চ পর্যায়ের ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে অংশ নেন তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি এবং ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রী।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের প্রসার নিয়ে আলোচনা করেছেন। সেইসঙ্গে ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে বাণিজ্য বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
পাকিস্তানের করাচি ও গোয়াদর বন্দর এড়িয়ে পণ্য পরিবহনের জন্য চাবাহার বন্দর উন্নয়ন করছে ভারত।
বুধবার আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, “আফগানিস্তানের ভারসাম্যপূর্ণ এবং অর্থনীতি-কেন্দ্রিক পররাষ্ট্রনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাবুল গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার হিসাবে ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্য নিয়েছে।”
ওদিকে, দুবাইয়ের বৈঠকের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলেছে, আফগানিস্তানে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে জড়িত হওয়া এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর কথা ভাবছে ভারত।
যদিও আফগানিস্তানের তালেবান প্রশাসনকে ভারত-সহ বিশ্বের কোনও দেশই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি।
তারপরও বাণিজ্য, ত্রাণ সহায়তা ও চিকিৎসার জন্য বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে ভারত কাবুলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রেখেছে। বিভিন্ন সময় তালেবান প্রশাসনের আওতায় আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাও ভারত পাঠিয়েছে।
চীন-রাশিয়াসহ আঞ্চলিক অন্যান্য দেশ আফগানিস্তানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ইচ্ছুক বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
আফগান তালেবানের সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বৈঠক পাকিস্তানকে বিক্ষুদ্ধ করতে পারে। আফগানিস্তান এবং ভারত- দুই দেশের সঙ্গেই সীমান্ত রয়েছে পাকিস্তানের। দেশটি অতীতে ভারতের সঙ্গে তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে।