নির্বাচনের আগে দিয়ে ভোটারদের সামনে তিনি যে বক্তব্য রাখতে চলেছেন, তা থেকেই মিলেছে এমন আভাস। তার বক্তব্যের কিছু উদ্ধৃতি হাতে পেয়েছে রয়টার্স।
Published : 01 Jul 2024, 10:22 PM
আগামী ৪ জুলাই যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে জয়ের আশা যেন ছেড়েই দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। নির্বাচনের আগে দিয়ে ভোটারদের সামনে তিনি যে বক্তব্য রাখতে চলেছেন, তা থেকেই মিলেছে এমন আভাস।
ওই বক্তব্যে তিনি যেমন লেবার পার্টির সরকার এলে একমাত্র তার দল কনজারভেটিভ পার্টিই শক্তিশালী বিরোধীদল হতে পারবে বলেছেন, তেমনি তার দলের এমন ‘শক্তিশালী বিরোধীদল’ হওয়ার সুযোগ নষ্ট হতে না দেওয়ার জন্য ভোটারদের আহ্বান জানিয়েছেন।
এতে মনে হয়েছে, নির্বাচনের ৩ দিন আগেই সুনাক হার স্বীকার করে নিয়েছেন।
সোমবার একটি সমাবেশে ভোটারদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা আছে ঋষি সুনাকের। তার সেই বক্তব্যের কিছু উদ্ধৃতি আগেই হাতে পেয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তাতে দেখা গেছে, সুনাক নির্বাচনে নাইজেল ফারাজ এর ‘রিফর্ম ইউকে’ পার্টিকে ভোট না দেওয়ার জন্য ভোটারদের আহ্বান জানাচ্ছেন। আর সে আহ্বান জানাতে গিয়েই তিনি কনজারভেটিভ পার্টির শক্তিশালী বিরোধীদল হওয়ার সক্ষমতার কথা বলছেন।
কনজারভেটিভ (টোরি) পার্টির বিরুদ্ধে গিয়ে যে ভোটাররা ‘রিফর্ম ইউকে’ পার্টির দিকে ঝুকছেন, তাদের কাছেই সুনাকের আবেদন- তারা যেন এই দলকে ভোট না দেয়। কারণ, তাতে কেবল ভোট ভাগ হয়ে যাবে।
সমাবেশে সুনাক ভোটারদেরকে বলবেন, “রিফর্ম পার্টি লোবার দলের বিরোধীপক্ষ হিসাবে যথেষ্ট আসন জিতবে না।” কারণ, এই দল আগেই বলেছিল, তারা পার্লামেন্টে তাদের দলের কিছু সংখ্যক সদস্য দেখতে পেলেই সন্তুষ্ট।
সুনাক আরও বলবেন, “বিষয়টি কল্পনা করে দেখুন: শত শত লেবার এমপি’র বিরোধিতায় কেবল এক, দুই, তিন, চার বা পাঁচজন এমপি হলে কেমন হবে।”
“লেবার নেতৃত্বাধীন সরকার আমাদের দেশের জন্য ভাল হবে না। আর তাদের রাশ টেনে ধরার মতো শক্তিশালী বিরোধীপক্ষ না থাকলে বিপর্যয় ঘটবে, যে ক্ষতি কয়েক দশকেও পুষিয়ে নেওয়া যাবে না।
“লেবার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রবল বিরোধী পক্ষ কেবল কনজারভেটিভরাই হতে পারে। নাইজেল ফারাজের রিফর্ম ইউকে পার্টিকে ভোট দেওয়া মানেই কনজারভেটিভ দলের সেই শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ হওয়ার কোনওরকম সুযোগ নষ্ট হওয়া।”
১৪ বছরের টালমাটাল শাসনের পর যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি এবারের নির্বাচনে হারের ঝুঁকিতে রয়েছে। এমনকি ঋষি সুনাকেরও নিজ নির্বাচনী আসন হারানোর ঝুঁকি আছে। বিভিন্ন জনমত জরিপে নেতা কিয়ার স্টারমারের বিরোধী দল লেবার পার্টিকে কনজারভেটিভ পার্টির চেয়ে ২০ পয়েন্টে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
ওদিকে, রিফর্ম ইউকে পার্টির প্রতি সমর্থনের কারণে মধ্যপন্থি-ডান ভোট ভাগ হয়ে যাচ্ছে এবং লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের কারণে কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন আরও কমছে।