এক অডিও বার্তায় চরমপন্থি নন বলে দাবি করেছেন ‘জিহাদি জন’ নামে পরিচিত মোহাম্মদ এমওয়াজি।
Published : 03 Mar 2015, 09:26 PM
একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা বিভাগের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন।সম্প্রতি অডিও টেপটির কিছু অংশ হাতে পেয়েছে বিবিসি।
সিরিয়ার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি জিহাদি জন এর নাম এমওয়াজি। বেশ কয়েকজন পশ্চিমা জিম্মির শিরশ্ছেদের ভিডিওতে জিহাদি জনকে দেখা গেছে।
ওই অডিও বার্তায় এমওয়াজির অভিযোগ, যুক্তরাজ্যের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগ (এমআইফাইভ) তাকে হুমকি দিয়েছে। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ কেজ ২০০৯ সালে ওই অডিওটি প্রস্তুত করে।
২০০৯ সালে তানজানিয়া থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন এমওয়াজি এবং তাকে এমআইফাইভ এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। ওই বছর শেষের দিকে তিনি লন্ডনে ফিরে কেজকে ইমেইলে এবং পরে সরাসরি বৈঠকে পুরো ঘটনা জানান।
কেজকে এমওয়াজি বলেন, ২০০৯ সালে ‘সাফারি হলিডে’ পালন করতে তিনি তানজানিয়ায় প্রবেশ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে বাধা দেয়া হয় এবং আমস্টার্ডামের একটি বিমানে তুলে দেয়া হয়।
সেখানে যুক্তরাজ্যের একজন প্রতিনিধি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য সোমালিয়া যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
“সে (গোয়েন্দা কর্মকর্তা) আমার দিকে তাকিয়ে বলল তার এখনো মনে হচ্ছে আমি (জঙ্গি) প্রশিক্ষণ নিতে সোমালিয়া যাচ্ছি।”
“আমি এই মাত্র আপনাকে যা বললাম ঠিক সেটাই তাকে বলেছিলাম।”
এমওয়াজির দাবি ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা তাকে হুমকি দিয়ে বলেছে, “মোহাম্মদ আমরা তোমার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। আমরা এরই মধ্যে তা করতে শুরু করেছি।”
ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিজেকে নিক বলে পরিচয় দেন এবং তার কাছে নাইন-ইলেভেন, আফগানিস্তান যুদ্ধ এবং লন্ডনে ৭ জুলাইয়ের হামলা নিয়ে তার মত জানতে চায় বলেও দাবি এমওয়াজির।
জবাবে এমওয়াজি বলেন, “৭ জুলাইয়ের হামলায় নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে এবং ওটা ছিল চরমপন্থা। নাইন-ইলেভেনে যা হয়েছে সেটাও ভুল ছিল।”
কেজের গবেষণা পরিচালক অসীম কুরেশি এই অডিওটি প্রস্তুত করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।