সৌদি আরবসহ কয়েকটি আরব দেশ সম্পর্ক ছিন্ন করায় খাদ্য সঙ্কট দেখা দেওয়া কাতারে পাঁচটি উড়োজাহাজ বোঝাই করে খাবার পাঠিয়েছে ইরান।
Published : 11 Jun 2017, 07:34 PM
‘সন্ত্রাসীদের মদদদাতা’ অভিযোগ তুলে ৫ জুন কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় প্রতিবেশী দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন ও মিশর।
ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল কায়েদা, মুসলিম ব্রাদারহুডসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনকে কাতার ‘মদদ দিচ্ছে’ বলে অভিযোগ তাদের।
কাতার তাদের মোট খাবারের ৪০ শতাংশই সৌদি আরব থেকে আমদানি করত।
ইরান এয়ারের একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত পাঁচটি উড়োজাহাজে করে ফল ও সবজির মত পচনশীল খাবার কাতারে পাঠানো হয়েছে। প্রতিটি উড়োজাহাজে ৯০ টন করে খাবার রয়েছে। আজ আরও কয়েকটি উড়োজাহাজে করে খাবার পাঠানো হবে।”
তবে এই খাবার ত্রাণ হিসেবে পাঠানো হয়েছে, নাকি কাতার সরকার খাবার কিনেছে সে সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি। কাতারের চাহিদা যতদিন থাকবে ইরান ততদিন খাবার পাঠাবে বলেও জানান তিনি।
ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সির খবরে বলা হয়, তিনটি জাহাজ ৩৫০ টন খাবার নিয়ে কাতারে রওয়ানা হয়েছে।
সম্পর্ক ছিন্নের পর কাতার ভিত্তিক বিমান কোম্পানিগুলোকে নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সৌদিআরব, বাহরাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
ইরান কাতারের বিমান কোম্পানিগুলোর জন্য তাদের আকাশসীমা খুলে দিয়েছে।
সৌদিআরব, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ১৪ দিনের মধ্যে কাতারের নাগরিকদের দেশ ত্যাগেরও নির্দেশ দিয়েছে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনও নির্দেশ দেয়নি কাতার সরকার।
বিবিসি জানায়, ওই তিন দেশের প্রায় ১১ হাজার নাগরিক কাতারে বসবাস করেন।