সিরিয়ার আলেপ্পো শহরে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকাগুলোয় সরকারি বাহিনীর অবরোধ প্রচেষ্টার মুখে দুপক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের খবর পাওয়া গেছে।
Published : 06 Feb 2016, 01:51 PM
শুক্রবার রাতিয়ান শহরের আশপাশে তীব্র লড়াইয়ে উভয়পক্ষের ১২০জন যোদ্ধা নিহত হয়েছেন বলে পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি।
লড়াই তীব্র হয়ে ওঠায় আলেপ্পো শহর ও এর আশপাশের এলাকা থেকে বেসামরিক বাসিন্দারা পালানো শুরু করেছে। শুক্রবার রাতে তুরস্ক সীমান্ত ক্রসিংয়ে প্রায় ২০ হাজার মানুষ রাত কাটিয়েছে।
তু্রস্ক শরণার্থীদের সহায়তা করার প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানালেও আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্ধ করে রেখেছে।
রুশ বিমান হামলার সহায়তায় কয়েকদিনে আলেপ্পো প্রদেশে সিরীয় সেনাবাহিনী ধারাবাহিক সাফল্য পেয়েছে। শুক্রবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে সরকারি বাহিনী আলেপ্পোর পার্শ্ববর্তী শহর রাতিয়ান অধিকার করেছে বলে জানিয়েছে।
কিন্তু বিদ্রোহীদের প্রধান হাসান হাজ আলি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, শহরটির এখনো পতন হয়নি তবে সেখানে ‘তীব্র লড়াই চলছে’।
তিনি বলেন, “সরকারি বাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার পরিধি বিস্তৃত করার চেষ্টা করছে। আলেপ্পোর উত্তরের গ্রামাঞ্চলগুলো পুরোপুরি ঘিরে ফেলেছে তারা। সেখানকার মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব কঠিন হয়ে পড়েছে।”
আলেপ্পো থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার মানুষ তুর্কি সীমান্তের পাশে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র রাত কাটিয়েছে, কিন্তু তুর্কি সীমান্ত ক্রসিংয়ের গেটগুলো বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে পাঁচ বছরে ২০ লাখেরও বেশি সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তুরস্ক। কিন্তু সীমান্তে জড়ো হওয়া আরো কয়েক হাজার শরণার্থীকে দেশটি আশ্রয় দেবে কিনা তা পরিষ্কার নয়।