ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, এ হামলায় রাশিয়া ১৪৫টি ড্রোন, ১১টি ব্যালিস্টিকসহ ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
Published : 24 Apr 2025, 04:35 PM
ইউক্রেইনের রাজধানী কিইভে রাতভর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া, এতে অন্তত আটজন নিহত ও ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে ইউক্রেইনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চলতি বছর কিইভে রাশিয়ার চালানো এটি সবচেয়ে বড় হামলা বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এই হামলায় নগরীটির বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংস হয়।
টেলিগ্রাম অ্যাপে ইউক্রেইনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, বুধবার দিবাগত রাতে চালানো এ হামলায় রাশিয়া ১৪৫টি ড্রোন, ১১টি ব্যালিস্টিকসহ ৭০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে আর তারা এগুলোর মধ্যে ১১২টি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে ছয়টি শিশু আছে। কিছু মানুষ এখনও ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপে আটকা পড়ে আছেন। হামলার পর কোথাও কোথাও আগুন ধরে যায়।
টেলিগ্রামে দেশটির জরুরি পরিষেবা লিখেছে, “ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়া লোকজনের সন্ধানে তল্লাশি অব্যাহত আছে।”
ইউক্রেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্দ্রি সিবিহা সামাজিক মাধ্যম এক্স এ হামলাটিকে ‘নৃশংস আঘাত’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “এই হামলা দেখিয়েছে, ইউক্রেইন নয়, রাশিয়াই শান্তির পথে বাধা।”
এই হামলার বিষয়ে রাশিয়ার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
কিইভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো জানিয়েছেন, রাজধানীতে আটজন নিহত হয়েছেন বলে এ পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর আগে দেশটির কর্মকর্তারা নয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন।
ইউক্রেইনে যুদ্ধের এক ক্রান্তিকালে কিইভে এ হামলা চালালো রাশিয়া। ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে শান্তির প্রচেষ্টার উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের জোরালো কূটনৈতিক উদ্যোগ সত্ত্বেও এক্ষেত্রে অগ্রগতি তেমন হয়নি।
ক্ষুব্ধ ট্রাম্প জানিয়েছেন, শান্তি চুক্তি করার ক্ষেত্রে অগ্রগতি না হলে এই প্রচেষ্টা থেকে সরে দাঁড়াবে যুক্তরাষ্ট্র। তার এ হুমকিতে চাপে পড়েছে মস্কো ও কিইভ।
বুধবার লন্ডনে ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলো এক আলোচনায় মিলিতে হয়েছিল। ওই বৈঠকে ‘পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে সাধারণ অবস্থানের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে’ বলে এক যৌথ বিবৃতিতে দাবি করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও শেষ মুহূর্তে যোগদান না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বৈঠকটির মর্যাদা হ্রাস পায়। ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও লন্ডনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, একটি শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে তিনি ক্রাইমিয়া উপদ্বীপের ওপর রাশিয়ার দখলদারিত্ব মেনে নেবেন না।
তার এই মন্তব্যে বিরক্ত ট্রাম্প শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ার জন্য জেলেনস্কিকে দায়ী করেছেন।