গত বছরের অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে বন্দি হয়ে থাকা চার জিম্মিকে গাজায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
Published : 09 Jun 2024, 10:10 AM
ফিলিস্তিনের ছিটমহল গাজার মধ্যাঞ্চলীয় আল-নুসেইরাত শরণার্থী শিবির ও নিকটবর্তী এলাকাগুলোতে ইসরায়েলের জিম্মি মুক্তি অভিযানে কিছু জিম্মি নিহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে।
কাসাম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু উবাইদা তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে বলেছেন, “ইসরায়েল ভয়াবহ গণহত্যা ঘটিয়ে তাদের কিছু জিম্মিকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, তবে অভিযান চলাকালে তারা অন্য কয়েকজনকেও হত্যা করেছে।”
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে হামাসের হাতে বন্দি হয়ে থাকা চার জিম্মিকে শনিবার গাজায় এক অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। যে এলাকা থেকে এই জিম্মিদের উদ্ধার করা হয়েছে সেই আল-নুসেইরাতে ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও ড্রোন হামলায় অন্তত ২১০ জন নিহত হয়েছেন বলে হামাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আট মাস ধরে চলা গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।
আবু উবাইদা বলেছেন, “শনিবারের অভিযান শত্রুপক্ষের জিম্মিদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনবে এবং তাদের অবস্থা ও জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
আল-নুসেইরাত এলাকাটি ঘন বসতিপূর্ণ। গত আট মাসে এখানে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধাদের অনেকগুলো লড়াইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসা ভিডিওতে আল-নুসেইরাতের রক্তে ভেসে যাওয়া রাস্তাগুলোকে ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
নুসেইরাতের বাসিন্দা চিকিৎসা কর্মী জিয়াদ (৪৫) বলেন, “হরর সিনেমার মতো হলেও এটি বাস্তব নির্বিচার হত্যা। এই এলাকায় ইসরায়েলি ড্রোন ও যুদ্ধবিমানগুলো সারারাত লোকজনের ঘরবাড়ি ও পলায়নপর মানুষের ওপর এলোমেলোভাবে গুলিবর্ষণ করেছে।”
একটি ম্যাসেজিং অ্যাপের মাধ্যমে তিনি রয়টার্সকে জানান, নুসেইরাতের একটি বাজার এলাকা ও আল-আওদা মসজিদ বোমা হামলার লক্ষ্য ছিল।
“চারজন মানুষকে মুক্ত করতে ইসরায়েলিরা ডজন ডজন নিরপরাধ বেসামরিককে হত্যা করে রেখে গেল,” বলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
ইসরায়েল ৪ জিম্মিকে উদ্ধার করেছে; হামাস বলছে, নিহত হয়েছে ২১০ জন
গাজা থেকে জীবিত ৪ জিম্মিকে উদ্ধারের দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর