যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও কানাডার গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে বলা হয় ‘ফাইভ আইস’।
Published : 17 Jan 2024, 05:03 PM
পাঁচ মিত্র দেশের গোয়েন্দা জোট ‘ফাইভ আইস’ এর তথ্যের ভিত্তিতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শিখ নেতা হারদীপ সিং নিজ্জারকে হত্যায় ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক জানিয়েছেন।
চলতি বছরের ১৮ জুন খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা কানাডীয় নাগরিক হারদীপ সিং নিজ্জারকে খুনের পর থেকে তদন্তে নেমে বিভিন্ন উপায়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে ট্রুডোর সরকার। তাদের গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের যোগাযোগ রয়েছে। এই পাঁচ দেশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ককে বলা হয় ‘ফাইভ আইস’ বা পঞ্চচক্ষু।
‘ফাইভ আইস’ এর তথ্যেই ট্রুডো নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারতের গোয়েন্দার বাহিনীর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছে বলে খবর দিয়েছে কানাডার সিটিভি নিউজ।
কানাডায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড কোহেন রোববার সিটিভি নিউজ চ্যানেলকে বলেন, “আমি বলব, এখানে গোয়েন্দা তথ্য শেয়ারের একটি বিষয় আছে। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক যোগাযোগ ছিল...।”
তবে কোন গোয়েন্দা বাহিনী কোন মাধ্যমে ওই তথ্য পেয়েছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কোহেন। ফাইভ আইস নেটওয়ার্কের সঙ্গে কানাডার গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের বিষয়টি নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হলেও প্রথম কোনো মার্কিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বললেন।
কোহেনের বরাতে সিটিভি বলেছে, ভারতের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার আগে ওই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের প্রকাশ্যে নিন্দা জানাতে বলেছিল অটোয়া। কিন্তু সেই আহ্বান প্রত্যাখান করা হয়েছিল।
নিজ্জারকে খুনের ঠিক তিন মাস পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতের গোয়েন্দা বাহিনী ‘র’ বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এরপর দুই দেশের সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। উভয় দেশের কূটনীতিককে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারের পর ভারত কানডার নাগরিকদের ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছে। শুরু থেকেই কানাডার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে ভারত সরকার।
ভারতের পাঞ্জাবে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র ‘খালিস্তান’ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের নেতা ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী নিজ্জার। ২০২০ সালে ভারত তাকে সন্ত্রাসী অ্যাখ্যা দেয়।
সংবাদসূত্র: রয়টার্স, এনডিটিভি
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)