টাইফুন ইয়াগি পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে রাজধানী হ্যানয়ে প্রবল ঝড় বইয়ে দেয় ও ভারি বৃষ্টি ঝড়ায়।
Published : 11 Sep 2024, 01:18 PM
চলতি বছরে এশিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে ঝড়, বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৫৮ জন নিখোঁজ আছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোহিত নদীর পানি বেড়ে রাজধানী হ্যানয়ের রাস্তাগুলো ডুবে যাওয়ার পর বুধবার নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোর কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ফিলিপিন্স ও চীনের হাইনান দ্বীপে তাণ্ডব চলানোর পর শনিবার ভিয়েতনামের উত্তর উপকূল দিয়ে স্থলে উঠে আসে টাইফুন ইয়াগি। এরপর থেকে পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে হ্যানয়ের উপর দিয়ে প্রবল ঝড় বইয়ে দেয় ও ভারি বৃষ্টি ঝড়ায়। ঝড়টি লোহিত নদীর উজানের দিকের প্রদেশগুলোতে হাজির হয় আর এর প্রভাবে সোমবার ফু থো প্রদেশে নদীটির ওপর দিয়ে যাওয়া ফং চাউ সেতু ধসে পড়ে।
হ্যানয়ের বাসিন্দা চান লে কুইন (৪২) রয়টার্সকে বলেন, “৩০ বছরের মধ্যে আমার দেখা সবচেয়ে মারাত্মক বন্যা এটি। গতকাল সকালেও শুকনা ছিল আর এখন পুরো রাস্তা ডুবে গেছে। কালকে রাতে আমরা ঘুমাতে পারিনি।”
দেশটির সরকার ও রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম জানিয়েছে, নিচু এলাকার বসবাসরত কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্যার কারণে হ্যানয়ের কিছু স্কুলের শিক্ষার্থীদের সপ্তাহের বাকি দিনগুলোও বাসায় থাকতে বলা হয়েছে।
লোহিত নদী পাড়ের এক এলাকার বাসিন্দা নুয়েন ভান হুং (৫৬) বলেন, “আমরা বাড়ি এখন নদীর অংশ হয়ে গেছে।”
নগরীর আরও ভেতরে সিটি সেন্টারের দিকে দাতব্য সংস্থা ব্লু ড্রাগন চিলড্রেনস ফাউন্ডেশন বন্যার ঝুঁকির বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সতর্কতা পাওয়ার পর তাদের দপ্তর সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
সংস্থাটির গণমাধ্যমে বিষয়ক কর্মকর্তা কার্লোটা টরেস লিরো বলেন, “লোকজন উন্মত্তের মতো সরে যাওয়া শুরু করেছে। মোটরবাইকে করে সরে যাচ্ছে, জিনিসপত্রও নিয়ে যাচ্ছে।”
টাইফুন ইয়াগির কারণে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলের রপ্তানিমুখি শিল্পাঞ্চলগেুলোর বহু কারখানা ও গুদাম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নির্বাহীরা জানিয়েছেন, কিছু কারখানায় উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে, এগুলো চালু হতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।