মার্কিন বাণিজ্য নীতির এই পরিবর্তন বাজারকে অস্থির করে তুলেছে এবং মুদ্রাস্ফীতি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
Published : 07 Mar 2025, 04:26 PM
কানাডা ও মেক্সিকোর যেসব পণ্যে দিনকয়েক আগে ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছিল, তার অনেকগুলোকে ৪ সপ্তাহের জন্য ছাড় দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার তার এ নির্দেশের ফলে প্রতিবেশী দুই দেশের অনেক পণ্য ২ এপ্রিল পর্যন্ত শুল্ক ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পেল।
ওইদিন থেকে ভারতসহ আরও অনেক অংশীদার দেশের পণ্যেই ট্রাম্প ‘পাল্টা’ শুল্ক বসানোর হুমকি দিয়ে রেখেছেন, জানিয়েছে বিবিসি, বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কানাডা ও মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের ২৫ শতাংশ শুল্ক মঙ্গলবার কার্যকর হয়।
এর পরদিনই ট্রাম্প জানান, তিনি গাড়িনির্মাতাদের এই শুল্ক থেকে সাময়িক ছাড় দিতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রথমে মেক্সিকোর অনেক পণ্যকে ছাড়ের আওতায় আনার কথা জানান, পরে এ তালিকায় কানাডার কিছু পণ্যও যোগ হয়।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার দুইদিনের মাথায় ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে তার অবস্থান পাল্টালেন; যুক্তরাষ্ট্রের দুই বৃহত্তম অংশীদার দেশের পণ্যে শুল্ক নিয়ে এমন অস্থিরতা ব্যবসা-বাণিজ্য অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে, মুদ্রা বাজার নিয়ে দেখা দিচ্ছে নতুন উদ্বেগ।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লদিয়া শেইনবাউম। কানাডা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ের আওতা বাড়ানোয় তারাও মার্কিন পণ্যে দ্বিতীয় দফায় পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ২ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখবে।
কানাডা এই দফায় ১২ হাজার ৫০০ কোটি কানাডীয় ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্যে শুল্ক বসানোর পরিকল্পনা করেছিল।
হোয়াইট হাউজের আদেশে কানাডার যেসব পণ্যকে সাময়িক সময়ের জন্য শুল্কের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে, তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষকদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ পণ্য পটাশ সারও রয়েছে।
তবে এ ছাড়ের আওতায় সব জ্বালানি পণ্য অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কানাডার জ্বালানি পণ্যের ওপর ট্রাম্প আলাদা করে ১০% শুল্ক আরোপ করেছিলেন।
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেছেন, কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা সব জ্বালানি পণ্য ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে স্বাক্ষরিত যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডা বাণিজ্য চুক্তির আওতায় পড়ে না। মূলত ওই চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে আসা পণ্যকেই এবার শুল্ক ছাড়ের তালিকায় ঢোকানো হয়েছে।
চার সপ্তাহের জন্য কিছু পণ্য ছাড় পেলেও এখনও মেক্সিকোর প্রায় ৫০% আর কানাডার ৬২% পণ্যে শুল্ক থাকতে পারে, বলেছেন এক কর্মকর্তা।