Published : 02 May 2025, 03:56 PM
হোয়াইট হাউজে মূলধারার সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের সঙ্গে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির (ডিওজিই) ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপের এক পর্যায়ে নিজের সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের তুলনা টেনেছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
কাছাকাছি সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পও কৌতুক করে নিজেকে পরবর্তী পোপ পদে দেখতে চেয়েছেন।
তবে মাস্ক মজা করেননি, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, ডিওজিই তাকে ছাড়াও খারাপ চলবে না।
“বৌদ্ধ ধর্মের জন্য বুদ্ধের উপস্থিতির আর প্রয়োজনীয়তা আছে?”, বুধবার হোয়াইট হাউজের ওয়েস্ট উইংয়ের রুজভেল্ট কক্ষে ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির ভবিষ্যৎ নিয়ে এক সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে তিনি পাল্টা এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
চলতি মাস থেকেই মাস্ক ডিওজিই-তে থাকছেন না বলে বেশকিছু খবর বেরিয়েছে। তাকে ছাড়া সরকারি ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে বানানো এই বিভাগটি কেমনে চলবে, তা নিয়ে অনেকের কৌতুহল আছে।
যদিও টেসলাপ্রধান আশাবাদী, তার ধারণা এটি বেশ ভালোভাবেই তার দায়িত্ব পালন করে যাবে।
“বুদ্ধ চলে যাওয়ার পরই কি ধর্মটি আরও শক্তিশালী হয়নি?” বলেছেন মাস্ক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর সরকারি ব্যয় ও প্রশাসনের কর্মীবহর ছোট করে ডিওজিই বানিয়ে তার দায়িত্ব দেন ঘনিষ্ঠ সহযোগী মাস্ককে। গত কয়েক মাসে হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই, নানান প্রকল্প বন্ধ বা স্থগিত করে দিয়ে ডিওজিই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হুলুস্থুল লাগিয়ে দিয়েছে।
মাস্কের ক্ষমতা, তার সঙ্গে ট্রাম্প মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজনের দ্বন্দ্বের খবরও গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে। তবে ট্রাম্প সবসময় মাস্ককে আগলে রেখেছেন এবং তার ব্যাপারে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
রিপাবলিকান এ প্রেসিডেন্ট দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসার পর থেকে মাস্ক সাধারণত ফক্স নিউজ, রক্ষণশীলদের বিভিন্ন পডকাস্ট এবং নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে থাকতেই বেশি পছন্দ করেছেন। মূলধারার সংবাদমাধ্যমগুলোর মুখোমুখি তিনি হননি।
বুধবার সেখান থেকে সরে এসে ডিওজিই-র আরও তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে মাস্ক নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, ইউএস টুডে, ব্লুমবার্গ, এবিসি, এনসিবি, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসসহ অন্তত ১০টি সংবাদমাধ্যমের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
বুদ্ধের সঙ্গে নিজের তুলনা টানলেও মাস্কের কণ্ঠে এদিন খানিকটা হতাশার সুরও পাওয়া গেছে বলে অনেক সাংবাদিক বলছেন।
মাস্ক সাংবাদিকদের জানান, সরকারি ব্যয় ১ ট্রিলিয়ন ডলার কমানোর যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন, তা এখনও পূরণ হয়নি।
তারা এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬০ বিলিয়ন ডলারের মতো ব্যয় কমাতে পেরেছেন, কিন্তু ওয়াশিংটন থেকে আরও সহায়তা না পেলে লক্ষ্য পূরণ খুবই কঠিন হবে, বলেছেন তিনি।
“এটা অনেকটা নির্ভর করছে, মন্ত্রিসভা ও কংগ্রেস কী পরিমান কষ্ট সহ্য করতে পারবে, তার ওপর,” বলেছেন বিশ্বের শীর্ষ এ ধনী।
তিনি স্বীকার করেন, ব্যয় হ্রাস করতে গিয়ে কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মীকেও ‘ভুলবশত ছাঁটাই’ করা হয়েছে। ব্যয় কমানো ও কর্মীবহর ছোট করতে তার কঠোর পদক্ষেপ মার্কিন প্রশাসনের ভেতরে-বাইরে নানা মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ারও জন্ম দিয়েছে।