প্রস্তাবের পাশাপাশি ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রাফার আশপাশের বাসিন্দাদের উপকূলের ধারের আল মাওয়াসি শহরে আশ্রয় নিতেও বলেছে। তাদের লক্ষ্য, গাজার দক্ষিণে ‘তুমুল অভিযান’ চালানো।
Published : 31 Mar 2025, 09:28 PM
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের কাছে এখন যত জিম্মি আছে তাদের অর্ধেককে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ইসরায়েল।
সোমবার ইসরায়েলি কর্মকর্তারা এই প্রস্তাবের কথা জানানোর দিনই তেল আবিবের সামরিক বাহিনী রাফার আশপাশের বাসিন্দাদের উপকূলের ধারের আল মাওয়াসি শহরে আশ্রয় নিতে নির্দেশ দিয়েছে। বলেছে, ভূখণ্ডটির দক্ষিণে ‘তুমুল অভিযান’ চালানোর পরিকল্পনা আছে তাদের।
এর আগে হামাসও মধ্যস্থতাকারীদের দেওয়া একটি প্রস্তাবে রাজি হওয়ার কথা জানিয়েছিল। দুইপক্ষের মধ্যে এই আলোচনা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ বন্ধে একটি চূড়ান্ত চুক্তির দ্বার খুলতে পারে বলে অনেকেই আশা করছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গাজার ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধ এরই মধ্যে অর্ধলক্ষের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, বাস্তুচ্যুত করেছে লাখ লাখ মানুষকে, ভূখণ্ডটির অনেক এলাকা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে।
হামাসের কাছে এখন যত জিম্মি আছে তাদের মধ্যে ২৪ জন এখনও জীবিত এবং ৩৫ জন মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদের ফেরত দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েল গাজার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ৪০ থেকে ৫০ দিন পর্যন্ত বাড়াতে চায়, বলেছেন নাম প্রকাশে রাজি না হওয়া ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
এর আগে রোববার প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইসরায়েল হামাসের ওপর চাপ বাড়াবে, এবং ‘আক্রমণের মুখেই’ আলোচনা চালিয়ে যাবে।
জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে অব্যাহত সামরিক চাপই সেরা উপায়, বলেছেন তিনি।
নেতানিয়াহু হামাসকে ‘নিরস্ত্র’ করার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন। এই দাবি প্রত্যাখ্যান ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটি বলেছে, অস্ত্র সমর্পণ করার ‘লাল দাগ’ তারা কখনোই অতিক্রম করবে না।
হামাস নেতারা চাইলে বৃহত্তর সমঝোতার আওতায় গাজাও ছাড়তে পারবেন, বলেছেন নেতানিয়াহু। এই সমঝোতার মধ্যে ভূখণ্ডটি ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া ‘স্বেচ্ছা অভিবাসন’ প্রস্তাবও রয়েছে।