ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারকে এখন বিশ্বে ক্যান্সারে মৃত্যুর পঞ্চম প্রধান কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
Published : 04 Feb 2025, 07:18 PM
যারা আজ পর্যন্ত কখনও সিগারেট-বিড়ি ছুঁয়ে দেখেননি, তাদের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে ফুসফুস ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই শিউরে ওঠা তথ্য।
এর নেপথ্যে বায়ুদূষণ ‘অন্যতম কারণ’ বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ক্যান্সার এজেন্সি। মঙ্গলবার বিশ্ব ক্যানসার দিবসে 'দ্য ল্যানসেট রেসপিরেটরি মেডিসিন' জার্নালে গবেষণাটির ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) জানিয়েছে, অধূমপায়ীদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সারকে এখন বিশ্বে ক্যান্সারে মৃত্যুর পঞ্চম প্রধান কারণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গবেষকরা ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান চারটি উপধরনে মানুষের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে অ্যাডেনোকার্সিনোমার দাপটই সবচেয়ে বেশি।
অধূমপায়ীরা এ ক্যান্সারেই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী পুরুষ এবং নারী উভয়ের মধ্যেই এই ক্যান্সার প্রকট হয়ে উঠেছে বলে জানিয়েছে আইএআরসি।
সংস্থাটির গবেষণা বলছে, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে কখনও ধূমপান না করাদের মধ্যে প্রায় ২ লাখ মানুষ বায়ুদূষণ থেকে অ্যাডেনোকার্সিনোমা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিল।
গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণের কারণে অ্যাডেনোকার্সিনোমার প্রকোপ সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে চীনে।
ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গবেষণার প্রধান লেখক ও আইএআরসি-এর ক্যান্সার নজরদারি শাখার প্রধান ফ্রেডি ব্রে বলেন, গবেষণার ফল ফুসফুস ক্যান্সারের রূপান্তরের এই ঝুঁকির ওপর জরুরি নজরদারির প্রয়োজনীয়তাকে সামনে নিয়ে এসেছে।
যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে ধূমপানের হার কমলেও, যারা কখনও ধূমপান করেননি তাদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার ধরা পড়ার অনুপাত বাড়তে দেখা যাচ্ছে বলে জানান ব্রে।
তিনি বলেন, বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বব্যাপী অ্যাডেনোকার্সিনোমা আক্রান্তের হার বাড়বে কি না, তা নির্ভর করবে ভবিষ্যতে তামাকের ব্যবহার ও বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার নানা কৌশলের সাফল্যের ওপর।